পরমপ্রাচীন সনাতন ঋষি সনৎ-সুজাত বলিতেছেন-
এবং মৃত্যুং জায়মানং বিদিত্বা জ্ঞানেন তিষ্ঠন্ন বিভেতি মৃত্যোঃ। বিনশ্যতে বিষয়ে তস্য মৃত্যুঃ মৃত্যোর্ষথা বিষয়ং প্রাপ্য মর্ত্যঃ।।-(শ্রীমহাভারত, উদ্যোগপর্ব, দ্বি-চত্বারিংশোহধ্যায়, সনৎ-সুজাতীয় সম্বাদ-১৬)
ভগবৎপাদ্ শঙ্করাচার্য্যের শাঙ্করভাষ্য অনুসারে ভাবার্থঃ- এইরূপে কামক্রোধাদি হইতে উৎপন্ন প্রমাদাখ্য মৃত্যুই সর্বানর্থের বীজ, ইহা জানিয়া ঐ কামক্রোধাদি পরিহারপূর্বক অক্রোধাদি গুণসম্পাদন সহায়ে অদ্বিতীয় ব্রহ্মত্মস্বরূপে স্থিতিলাভবশতঃ জ্ঞানী আর মৃত্যু হইতে ভয় পান না। পরমাত্মসাক্ষাৎকারবশতঃ সেই জ্ঞানীর প্রমাদরূপী মৃত্যু বিনাশ প্রাপ্ত হয়। মরণশীল জীব যে প্রকারে মৃত্যুর বিষয়সংসার অর্থাৎ কামাদি দ্বারা কবলিত হইয়া বিনষ্ট হয় জ্ঞানীরও সেইরূপ প্রমাদরূপী মৃত্যুর বিনাশ ঘটিয়া থাকে। অর্থাৎ আত্মসাক্ষাৎকার হইলে শরীরাধ্যাস বা অজ্ঞানরূপ মৃত্যু স্বতই বিনষ্ট হইয়া থাকে- ইহাই ভাবার্থ।
No comments:
Post a Comment