শ্রীবশিষ্ঠদেব
বলিতেছেন-"এই ব্রহ্মাণ্ডে বায়ু যেরূপ বিদ্যমান থাকিয়াও অসঙ্গ, পরমেশ্বরও তদ্রূপ
সর্বপ্রাণীতে ব্যাপক থাকিয়াও সর্বপ্রাণী-শরীর হইতে মুক্ত অর্থাৎ অসঙ্গরূপে স্থিত।
তিনিই আত্মা।"-(যোগবাশিষ্ঠসারঃ, আত্মনিরূপণ-প্রকরণ-২৬)
কৃষ্ণযজুর্বেদীয়
কঠোপনিষদের দ্বিতীয়া বল্লীতে একই তত্ত্ব বর্ণিত আছে-
বায়ুর্যথৈকো ভুবনং প্রবিষ্টো রূপং রূপং প্রতিরূপো বভূব ।
একস্তথা সর্বভূতান্তরাত্মা রূপং রূপং প্রতিরূপো বহিশ্চ ॥ -(কঠোপনিষৎ-২/২/১০)
শাঙ্করভাষ্য
অনুসারে ভাবার্থঃ- একই বায়ু প্রাণরূপে দেহসমূহে অনুপ্রবিষ্ট হইয়া প্রত্যেক দেহানুসারে
তদনুরূপ হইয়াছেন সেইরূপ সকল প্রাণীর একই প্রত্যগাত্মা প্রত্যেক দেহেরই অনুরূপ যেন
হইয়া গিয়াছেন।
বৃহদারণ্যকের
শ্রুতিও তাহাই বলিয়াছেন-'অসঙ্গো হ্যয়ং পুরুষঃ'-(বৃহদারণ্যকোপনিষৎ-৪/৩/১৫,১৬)
'এই
পুরুষ অর্থাৎ হৃদয়শায়ী চেতন অসঙ্গ।'
স্বয়ং
দেবী জগদম্বা দেবতাদের উদ্দেশ্য করে বলিতেছেন- মিথ্যা এই প্রপঞ্চের সঙ্গে আত্মার কোন
সম্বন্ধ নেই। তাই আমার আত্মা অসঙ্গ। অপরদিকে আর সব পদার্থই মিথ্যা, কারণ- মায়া কল্পিত।
পরিচ্ছেদ রচনাকারী প্রপঞ্চময় আর সব যখন মিথ্যা, তখন আত্মাও অপরিচ্ছন্ন (অবিভক্ত)।
-(দেবীভাগবত পুরাণের ৭ম স্কন্দের অন্তর্গত দেবীগীতা, আত্মতত্ত্ব যোগ-১৮,১৯)
No comments:
Post a Comment