Monday, 1 July 2024

আনন্দলহরী

 


আনন্দলহরী

ভবানি স্তোতুং ত্বাং প্রভবতি চতুর্ভির্ন বদনৈঃ

প্রজানামীশানস্ত্রিপুরমথনঃ পঞ্চভিরপি

ষড্ভিঃ সেনানীর্দশশতমুখৈরপ্যহিপতিঃ

তদান্যেষাং কেষাং কথয় কথমস্মিন্নবসরঃ ||||

ভাবার্থ - হে ভবানি! প্রজাপতি ব্রহ্মা চতুর্মুখে, ত্রিপুরবিজয়ী ( পঞ্চানন ) পঞ্চমুখে, দেবসেনাপতি ( ষড়ানন ) যম্মুখে এবং ফণিপতি অনন্ত সহস্রমুখেও তোমার স্তব করতে যখন সমর্থ নন, তখন বল, অন্য কার বিষয়ে সম্ভব হতে পারে ||||

ঘৃতক্ষীরদ্রাক্ষামধুমধুরিমা কৈরপি পদৈঃ

বিশিষ্যানাখ্যেয়ো ভবতি রসনামাত্র বিষয়ঃ

তথা তে সৌন্দর্যং পরমশিবদৃঙ্মাত্রবিষয়ঃ

কথংকারং ব্রূমঃ সকলনিগমাগোচরগুণে ||||

ভাবার্থ - ঘৃত, ক্ষীর, দ্রাক্ষা মধু এদের মাধুর্য্য যেরূপ কোন কথা দ্বারা ব্যক্ত করা যায় না, তা কেবল রসনামাত্রেরই বিষয় অর্থাৎ ঘৃতাদির আস্বাদ কেবল জিহ্বাতেই অনুভূত হয়, কোনরূপ বাক্যপ্রয়োগ করে তা অপরকে বুঝাতে পারা যায় না, তদ্রূপ তোমার সৌন্দর্য্য কেবল পরমশিবের দৃষ্টিগোচর, হে সর্ব্বশাস্ত্রের অগোচর-গুণ-সম্পন্নে! ( তা ) আমরা বাক্য দ্বারা কিরূপে প্রকাশ করি ||||

মুখে তে তাম্বূলং নয়নয়ুগল়ে কজ্জলকলা

ললাটে কাশ্মীরং বিলসতি গলে মৌক্তিকলতা

স্ফুরৎকাঞ্চী শাটী পৃথুকটিতটে হাটকময়ী

ভজামি ত্বাং গৌরীং নগপতিকিশোরীমবিরতম্ ||||

ভাবার্থ - হে মাতঃ! তোমার মুখে তাম্বুল, নয়নদ্বয়ে কজ্জল, ললাটে কুঙ্কুমবিন্দু, গলায় মৌক্তিক-হার, বিপুল নিতম্বে কাঞ্চনময়ী সমুজ্জল কাঞ্চী ( চন্দ্রহার ) কটিদেশে বিচিত্র শাটী সুশোভিত আছে; তুমি পর্বত-রাজকুমারী গৌরী, আমরা তোমাকে অবিরত সেবা করি ||||

বিরাজন্মন্দারদ্রুমকুসুমহারস্তনতটী

নদদ্বীণানাদশ্রবণবিলসৎকুণ্ডলগুণা

নতাঙ্গী মাতঙ্গী রুচিরগতিভঙ্গী ভগবতী

সতী শম্ভোরম্ভোরুহচটুলচক্ষুর্বিজয়তে ||||

ভাবার্থ - যাঁর স্তনদ্বয়োপরি মন্দারপুষ্পের হার শোভা পাচ্ছে, ঝঙ্কারিণী বীণার ঝঙ্কার যার শ্রবণযুগলে দোদুল্যমান কুণ্ডলদ্বয়ের গুণস্বরূপে প্রতীয়মান হচ্ছে, অর্থাৎ ক্রোড়স্থ মধুরনাদিনী বীণা কর্ণার্দ্ধদেশাবধি সংশ্লিষ্ট থাকাতে মধুর ঝঙ্কার যেন কুণ্ডল হতেই উত্থিত হচ্ছে এইরূপ মনে হয়। যার অঙ্গসকল সন্নত, করিণীর ন্যায় যার গতিভঙ্গী অতি মনোহর, কমলচারুলোচনা শিবের সেই সতী বিজয়যুক্তা হয়ে আছেন ||||

নবীনার্কভ্রাজন্মণিকনকভূষণপরিকরৈঃ

বৃতাঙ্গী সারঙ্গীরুচিরনয়নাঙ্গীকৃতশিবা

তড়িৎপীতা পীতাম্বরললিতমঞ্জীরসুভগা

মমাপর্ণা পূর্ণা নিরবধিসুখৈরস্তু সুমুখী ||||

ভাবার্থ - নবোদিত সূর্য্যপ্রভার ন্যায় সমুজ্জ্বল মণিখচিত বিবিধ কাঞ্চনবিভূষণে যার অঙ্গসকল পরিবৃত, হরিণীনয়নসদৃশ নয়নের দৃষ্টিপাতে শিবকে যিনি আপনার জন করে লয়েছেন, যিনি সৌদামিনীর ন্যায় পীতবর্ণা এবং পীতাম্বর মনোহর নূপুরে শোভিতা, নিরবধি সুখপূর্ণা সেই অপর্ণা আমার প্রতি সুমুখী ( প্রসন্না ) হোন ||||

হিমাদ্রেঃ সম্ভূতা সুললিতকরৈঃ পল্লবযুতা

সুপুষ্পা মুক্তাভির্ভ্রমরকলিতা চালকভরৈঃ

কৃতস্থাণুস্থানা কুচফলনতা সূক্তিসরসা

রুজাং হন্ত্রী গন্ত্রী বিলসতি চিদানন্দলতিকা ||||

ভাবার্থ - হিমালয় পর্বত হতে উৎপন্না এই জঙ্গম চিদানন্দলতা অপূর্ব শোভা ধারণ করেছেন, মনোহরকরচতুষ্টয় এর পল্লব, মুক্তাসমূহ এর কুসুম, অলকাবলি ভ্রমরনিকর, স্বাণু ( দেবী পক্ষে-শিব; লতাপক্ষে-শাখাহীন বৃক্ষ ) আশ্রয়ে এর অবস্থিতি, কুচভারে এর নম্রভাব সম্পাদিত, সুমধুর বচনই এর ( মধুর ফল )-রস, ইনি রোগহারিণী। ( দেবী পক্ষে রোগ ভবরোগ, লতা পক্ষে ব্যাধি ) ||||

সপর্ণামাকীর্ণাং কতিপয়গুণৈঃ সাদরমিহ

শ্রয়ন্ত্যন্যে বল্লীং মম তু মতিরেবং বিলসতি

অপর্ণৈকা সেব্যা জগতি সকলৈর্যৎপরিবৃতঃ

পুরাণোঽপি স্থাণুঃ ফলতি কিল কৈবল্যপদবীম্ ||||

ভাবার্থ - অপরাপর লোকে, সপর্ণা ( পত্রে মণ্ডিতা ) কতিপয় গুণশালিনী লতার প্রতি আকৃষ্ট হয়। আমার কিন্তু মত এই যে, জগতে একমাত্র অপর্ণারই সেবা করা সকলেরই উচিত, ( তৎপ্রতি আকৃষ্ট হওয়া উচিত ) যার আলিঙ্গনে পুরাতন স্থাণুও মোক্ষফল প্রসব করছেন। ( পুরাতন স্থাণু জীর্ণ শাখাহীন বৃক্ষ, অথচ জগতের আদি শিব ) ||||

বিধাত্রী ধর্মাণাং ত্বমসি সকলাম্নায়জননী

ত্বমর্থানাং মূলং ধনদনমনীয়াংঘ্রিকমলে

ত্বমাদিঃ কামানাং জননি কৃতকন্দর্পবিজয়ে

সতাং মুক্তের্বীজং ত্বমসি পরমব্রহ্মমহিষী ||||

ভাবার্থ - হে মাতঃ! তুমিই সকল ধর্ম্মের বিধানকর্ত্রী, ( কারণ ) তুমিই বেদ তন্ত্রসমূহের জননী-স্বরূপা; তুমিই অর্থের মূল কারণ, ( কারণ ) ধনপতি কুবেরও তোমার পাদপদ্ম সেবা করে থাকেন। হে জননি! তুমিই কামনা সকলের আদি, ( কারণ ) কন্দর্পবিজয়-কন্দর্পের পুনর্জীবন, তোমার দ্বারাই সম্পাদিত, তুমিই সাধুবৃন্দের মুক্তিপ্রাপ্তির আদি কারণ, ( কারণ ) তুমিই পরব্রহ্মের মহিষী ||||

প্রভূতা ভক্তিস্তে যদপি মমালোলমনসঃ

ত্বয়া তু শ্রীমত্যা সদয়মবলোক্যোঽহমধুনা 

পয়োদঃ পানীয়ং দিশতি মধুরং চাতকমুখে

ভৃশং শঙ্কে কৈর্বা বিধিভিরনুনীতা মম মতিঃ ||||

ভাবার্থ - হে জননি! আমি চঞ্চলমতি, তোমার প্রতি যদিও আমার প্রচুর ভক্তি না থাকুক, তবুও ( মা! ) আমার প্রতি তোমার সদয়-দৃষ্টিপাত করতে হবে, চাতক জলদের প্রতি কোনরূপ ভক্তি প্রকাশ করে না, তবুও জলধর চাতকগণের বদনে সুমধুর জলবর্ষণ করে থাকে। কোন কৰ্মফলে আমার বুদ্ধি এভাবে চালিত হলো, এই শঙ্কা আমি বিশেষভাবে করছি ||||

কৃপাপাঙ্গালোকং বিতর তরসা সাধুচরিতে

তে যুক্তোপেক্ষা ময়ি শরণদীক্ষামুপগতে

চেদিষ্টং দদ্যাদনুপদমহো কল্পলতিকা

বিশেষঃ সামান্যৈঃ কথমিতরবল্লীপরিকরৈঃ ||১০||

ভাবার্থ - হে সাধুচরিতে! তুমি আমার প্রতি শীঘ্র করুণা-কটাক্ষ নিক্ষেপ কর, আমি তোমার শরণাগত, আমার প্রতি উপেক্ষা করা তোমার উচিত নয়। কল্পলতিকা যদি ত্বরায় অভিলষিত প্রদান না করে, তা হলে সাধারণ লতার সহিত কল্পলতার কি প্রভেদ রইলো? ||১০||

মহান্তং বিশ্বাসং তব চরণপঙ্কেরুহযুগে

নিধায়ান্যন্নৈবাশ্রিতমিহ ময়া দৈবতমুমে

তথাপি ত্বচ্চেতো যদি ময়ি জায়েত সদয়ং

নিরালম্বো লম্বোদরজননি কং যামি শরণম্ ||১১||

ভাবার্থ - হে উমে! আমি তোমার শ্রীপাদপদ্মে সম্পূর্ণ বিশ্বাসস্থাপন করেই অন্য দেবতার আশ্রয় গ্রহণ করি নাই। হে মাতঃ! তবুও যদি মৎপ্রতি তোমার চিত্তে করুণা না জন্মে, হে গণেশজননি, তা হলে অবলম্বন-শূন্য আমি কার শরণাপন্ন হবো? ||১১||

অয়ঃ স্পর্শে লগ্নং সপদি লভতে হৈমপদবীং

যথা রথ্যাপাথঃ শুচি ভবতি গঙ্গৌঘমিলিতম্

তথা তত্তৎপাপৈরতিমলিনমন্তর্মম যদি

ত্বয়ি প্রেম্ণাসক্তং কথমিব জায়েত বিমলম্ ||১২||

ভাবার্থ - স্পর্শমণিতে সংলগ্ন হলে লৌহ যেরূপ আশু সুবর্ণত্ব প্রাপ্ত হয়, যেমন রথ্যা-জলও গঙ্গাপ্রবাহে মিলিত হলে আশু বিশুদ্ধ হয়ে থাকে, আমার অন্তর্গত রাশি রাশি পাপসত্ত্বেও যদি আমার অন্তঃকরণ তোমার প্রতি ভক্তির সহিত সমাসক্ত হয়, তা হলে সেই পাপাসক্ত অন্তঃকরণও সেইরূপ বিশুদ্ধ হবে না কেন? ||১২||

ত্বদন্যস্মাদিচ্ছাবিষয়ফললাভে নিয়মঃ

ত্বমর্থানামিচ্ছাধিকমপি সমর্থা বিতরণে

ইতি প্রাহুঃ প্রাঞ্চঃ কমলভবনাদ্যাস্ত্বয়ি মনঃ

ত্বদাসক্তং নক্তং দিবমুচিতমীশানি কুরু তৎ ||১৩||

ভাবার্থ - হে দেবি! তোমা ভিন্ন অন্য দেবগণের নিকট হতে অভিলষিত বস্তু যে প্রাপ্ত হওয়া যাবেই, এমম নিয়ম নাই, ( অধিক ফলপ্রাপ্তি দূরের কথা ) আর তুমি ইচ্ছার অতিরিক্ত অর্থদানেও সমর্থা, পদ্মযোনি প্রভৃতি প্রাচীন দেবগণ এইরূপ বলেছেন। অতএব হে ঈশানি! যাতে আমার চিত্ত রাত্রিদিন তোমাতে সমাসক্ত থাকে, সেই উচিত কার্য্য কর ||১৩||

স্ফুরন্নানারত্নস্ফটিকময়ভিত্তিপ্রতিফল

ত্ত্বদাকারং চঞ্চচ্ছশধরকলাসৌধশিখরম্

মুকুন্দব্রহ্মেন্দ্রপ্রভৃতিপরিবারং বিজয়তে

তবাগারং রম্যং ত্রিভুবনমহারাজগৃহিণি ||১৪||

ভাবার্থ - হে জননি! যিনি ত্রিভুবনের অদ্বিতীয় অধীশ্বর, তুমি তাঁর গৃহিণী। তোমার আলয়-ভিত্তি সমুজ্জল মণি স্ফটিকাদি রত্নরাজিতে পরিনির্মিত, তাতে তোমার আকার সর্বদা প্রতিফলিত হয়ে থাকে। চঞ্চল চন্দ্রপ্রতিবিম্বমণ্ডিত জলপ্রবাহ তোমার আলয়ের শিখরদেশে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ব্রহ্মা, বিষ্ণু, ইন্দ্র প্রভৃতি অমরবৃন্দ যথায় পরিজনরূপে অবস্থিত, তোমার সেই রমণীয় ভবন সর্বোৎকৃষ্ট ||১৪||

নিবাসঃ কৈলাসে বিধিশতমখাদ্যাঃ স্তুতিকরাঃ

কুটুম্বং ত্রৈলোক্যং কৃতকরপুটঃ সিদ্ধিনিকরঃ

মহেশঃ প্রাণেশস্তদবনিধরাধীশতনয়ে

তে সৌভাগ্যস্য ক্বচিদপি মনাগস্তি তুলনা ||১৫||

ভাবার্থ - হে মাতঃ! কৈলাসপর্ব্বতে তোমার বসতি, ব্রহ্মা ইন্দ্র প্রভৃতি দেবগণ তোমার স্তুতিপাঠক, ত্রিলোক তোমার কুটুম্ব, অণিমাদি অষ্টসিদ্ধি নিয়ত তোমার নিকট কৃতাঞ্জলিপুটে বিদ্যমান, মহেশ্বর তোমার পতি, যিনি ধরাধরসমূহের অধীশ্বর, সেই হিমালয় তোমার পিতা। সুতরাং তোমার সৌভাগ্যের ঈষৎ তুলনাও কোথাও নাই ||১৫||

বৃষো বৃদ্ধো যানং বিষমশনমাশা নিবসনং

শ্মশানং ক্রীড়াভূর্ভুজগনিবহো ভূষণবিধিঃ

সমগ্রা সামগ্রী জগতি বিদিতৈব স্মররিপোঃ

যদেতস্যৈশ্বর্যং তব জননি সৌভাগ্যমহিমা ||১৬||

ভাবার্থ - বৃদ্ধ বৃষ, বাহন; হলাহল আহারীয় দ্রব্য; দিঙ্মণ্ডল বস্ত্র; শ্মশান ক্রীড়াভূমি; ভুজঙ্গগণ ভূষণ; এটাই স্মরারি-শিবের সমগ্র সম্পত্তি সকলেরই পরিজ্ঞাত; তবে যে তাঁর ঐশ্বর্য্য, ( তিনি যে সকলের ঈশ্বর ) এটা তোমারই সৌভাগ্যের মহিমা ||১৬||

অশেষব্রহ্মাণ্ডপ্রলয়বিধিনৈসর্গিকমতিঃ

শ্মশানেষ্বাসীনঃ কৃতভসিতলেপঃ পশুপতিঃ

দধৌ কণ্ঠে হালাহলমখিলভূগোলকৃপয়া

ভবত্যাঃ সঙ্গত্যাঃ ফলমিতি কল্যাণি কলয়ে ||১৭||

ভাবার্থ - হে কল্যাণকারিণি! পশুপতি, অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডের প্রলয়কার্য্যেই স্বভাবতঃ নিরত আছেন, নিরন্তর শ্মশানে থাকেন, সর্বাঙ্গে ভস্মলেপন অর্থাৎ মরণ, মরণ স্থান মরণ-চিহ্নই যার প্রিয়, তার দয়া কি থাকতে পারে; ( তবুও ) তিনি যে অনন্ত জগতের প্রতি করুণা করে স্বীয় কণ্ঠে হলাহল ধারণ করেছেন, হে মাতঃ! তোমারই সহবাসের ফল ||১৭||

ত্বদীয়ং সৌন্দর্যং নিরতিশয়মালোক্য পরয়া

ভিয়ৈবাসীদ্গঙ্গা জলময়তনুঃ শৈলতনয়ে

তদেতস্যাস্তস্মাদ্বদনকমলং বীক্ষ্য কৃপয়া

প্রতিষ্ঠামাতন্বন্নিজশিরসিবাসেন গিরিশঃ ||১৮||

ভাবার্থ - হে গিরিনন্দিনি! তোমার অনুপম সৌন্দর্য্য দর্শন করেই গঙ্গাদেবী ভয়েই জলময় ( ঘর্মাক্ত ) কলেবরা হয়েছেন, তাতে তাঁর মুখপদ্ম ম্লান দেখে গিরিশদেব দয়াবশে তাকে স্বীয় মস্তকে স্থান দান দ্বারা গৌরব করেছেন ||১৮||

বিশালশ্রীখণ্ডদ্রবমৃগমদাকীর্ণঘুসৃণ

প্রসূনব্যামিশ্রং ভগবতি তবাভ্যঙ্গসলিলম্

সমাদায় স্রষ্টা চলিতপদপাংশূন্নিজকরৈঃ

সমাধত্তে সৃষ্টিং বিবুধপুরপঙ্কেরুহদৃশাম্ ||১৯||

ভাবার্থ - প্রভূত চন্দনদ্রব, মৃগনাভিযুক্ত কুঙ্কুম কুসুম-মিশ্রিত তোমার অভ্যঙ্গ-জল তোমার গমন-চঞ্চল চরণ-রেণু নিজ করচতুষ্টয়ে সংগ্রহ করে সৃষ্টিকর্তা ( তদ্দ্বারা ) সুরপুরভূষণ কমলনয়নাদের সৃষ্টি করেছেন ||১৯||

বসন্তে সানন্দে কুসুমিতলতাভিঃ পরিবৃতে

স্ফুরন্নানাপদ্মে সরসি কলহংসালিসুভগে

সখীভিঃ খেলন্তীং মলয়পবনান্দোলিতজলে

স্মরেদ্যস্ত্বাং তস্য জ্বরজনিতপীড়াপসরতি ||২০||

ভাবার্থ - ফুল্ল বিবিধ-কমল-শোভিত, কলহংস ভ্রমরকুলের সঞ্চারে সুদৃশ্য, মলয়-পবন-চঞ্চল-সলিল-সরোবরে সখীগণ সহ ক্রীড়া-নিরত তোমাকে যে স্মরণ করে, তার জ্বরজনিত পীড়া বিদূরিত হয় ||২০||

|| ইতি শ্রীমচ্ছঙ্করাচার্য বিরচিতা আনন্দলহরী সম্পূর্ণা ||

ইতি শ্রীমদ্ শঙ্করাচার্য বিরচিত আনন্দলহরী সমাপ্ত

No comments:

আচার্য শ্রীহর্ষ ও খণ্ডনখণ্ডখাদ্যম্

  খৃষ্টীয় দশম ও একাদশ শতকে অদ্বৈতবেদান্তের ক্ষেত্র অনুর্বর হলেও অপরাপর দর্শনের ক্ষেত্র যে বিবিধ চিন্তা - শস্যসম্ভারে সমৃদ্ধ ...