যদিও এই আত্মা দুর্বিজ্ঞেয় তথাপি এক উপায়ে তা সম্যক জ্ঞেয় হয়ই, এই কথা এই শ্রুতি বলছেন—
নায়মাত্মা
প্রবচনেন লভ্যো
ন
মেধয়া ন বহুনা শ্রুতেন
।
যমেবৈষ
বৃণুতে তেন লভ্যঃ
তস্যৈষ
আত্মা বিবৃণুতে তনূং স্বাম্ ॥
-(কঠোপনিষৎ-১.২.২৩)
—এই আত্মা
প্রবচনের দ্বারা অর্থাৎ বহুল বেদাধ্যয়নের মাধ্যমে
প্রাপ্তব্য অর্থাৎ জ্ঞেয় হন না, কিংবা
মেধা অর্থাৎ গ্রন্থার্থ অবধারণের শক্তির দ্বারাও তাঁকে জানা যায় না,
অথবা কেবল বহুতর শাস্ত্রশ্রবণেও
তাঁকে জানা যায় না।
তাহলে কি উপায়ে তিনি
জ্ঞেয় হন? এই প্রশ্নের
উত্তরে বলা হয়েছে— এই
সাধক যিনি কেবলমাত্র নিজ
আত্মস্বরূপকে বরণ অর্থাৎ বাঞ্ছা
করেন তাঁরই দ্বারা অর্থাৎ সেই ব্যাকুলাত্মা বরণকারী
কর্তৃকই আত্মা স্বয়ং লভ্য অর্থাৎ জ্ঞাত
হন। তাৎপর্য এই যে, কেবলমাত্র
আত্মাকেই বাঞ্ছাকারী নিষ্কাম অর্থাৎ আত্মকাম পুরুষের নিজের দ্বারাই নিজস্বরূপ উপলব্ধ হয়। কিরূপে এটি
উপলব্ধ হয়? এই প্রশ্নের
উত্তরে বলেছেন— সেই আত্মকামের নিকট
এই আত্মার নিজের পারমার্থিক তনু অর্থাৎ নিজস্বরূপ
প্রকাশিত করিয়ে দেন—এটাই এই
শ্রুতির তাৎপর্য।....
তথ্যসূত্রঃ-
ভগবৎপাদ্ শঙ্করাচার্যের কঠ উপনিষদ্ ভাষ্য।
শ্রীশুভ
চৌধুরী
সেপ্টেম্বর
১৫, ২০২৪ খৃষ্টাব্দ।
No comments:
Post a Comment