Friday, 13 September 2019

শ্রীভগবানের 'কেশব' নাম মাহাত্ম্যঃ-


শ্রীমহাভারতে অনুশাসনপর্ব্বণি 'বিষ্ণুসহস্রনাম স্তোত্রম্' এর শঙ্করাচার্য্য কৃত শাঙ্করভাষ্যে শ্রীভগবানের 'কেশব' নাম মাহাত্ম্য বর্ণিত আছে এইভাবে-
বিষ্ণুপুরাণে (৫।১৬।২৩) শ্রীকৃষ্ণের প্রতি নারদের বচন-'হে জনার্দন! যেহেতু তুমি দুষ্টাত্মা কেশীকে বিনাশ করেছ, সেইহেতু লোকে তোমাকে কেশব নামে পরিজ্ঞাত হবে।'
-(শঙ্করভাষ্য, বিষ্ণুসহস্রনাম ১৬)

সূর্যাদি সংক্রান্ত অংশু সকল ইঁহার কেশস্বরূপ সেইহেতু ইহাকে কেশব বলা হয়ে থাকে। মহাভারতে (শান্তিপর্ব-৩৪১।৪৮) আছে,হরি বলছেন-'যেসব কিরণ প্রকাশিত হচ্ছে এইসবই আমার কেশ, অতএব সর্বজ্ঞ ব্যক্তিরা আমার কেশব নাম কীর্ত্তন করে থাকে।'
অথবা 'ত্রয় কেশিনঃ' ইতি শ্রুতেঃ। অর্থাৎ ব্রহ্মা,বিষ্ণু,মহেশ ইঁহাদের শক্তিত্রয়ই কেশ সংজ্ঞক এবং এই শক্তিত্রয়রূপ কেশ বিশিষ্ট বলে কেশব নাম হয়েছে। বিষ্ণুপুরাণের অন্যত্র (৫।১।৬১) আছে-'বসুধাতলে আমার কেশদ্বয় (ব্রহ্মা ও মহেশ) আছে।' এই কেশ শব্দটি ভগবানের শক্তিবাচক হিসেবে প্রয়োগ হয়েছে।
-(শঙ্করভাষ্য, বিষ্ণুসহস্রনাম ৮২)
......................................................................................................
নারায়ণং নমস্কৃত্য নরং চৈব নরোত্তমম্।
দেবীং সরস্বতীং চৈব (ব্যাসং) ততো জয়মুদীরয়েৎ ॥ ১-১-১ (১)

॥ শ্রীবেদব্যাসায় নমঃ॥ শ্রীশঙ্করভগবত্পাদাচার্যস্বামিনে নমঃ ॥

No comments:

আচার্য শ্রীহর্ষ ও খণ্ডনখণ্ডখাদ্যম্

  খৃষ্টীয় দশম ও একাদশ শতকে অদ্বৈতবেদান্তের ক্ষেত্র অনুর্বর হলেও অপরাপর দর্শনের ক্ষেত্র যে বিবিধ চিন্তা - শস্যসম্ভারে সমৃদ্ধ ...