কৃষ্ণযজুর্বেদীয় কঠ উপনিষদের প্রথম অধ্যায়ের দ্বিতীয়া বল্লীতে এইরূপ প্রশ্নকারী নচিকেতাকে জিজ্ঞাসিত ঐ বস্তু এবং ঐবস্তুর অনান্য জ্ঞাপককে বলিবার ইচ্ছা করিয়া যম বলিতে লাগিলেন-
সর্বে বেদা যৎ পদমামনন্তি তপাংসি সর্বাণি চ যদ্ বদন্তি ৷
যদিচ্ছন্তো ব্রহ্মচর্যং চরন্তি তত্ তে পদং সংগ্রহেণ ব্রবীমি-ওমিত্যেতৎ ৷৷ (কঠ উপনিষৎ-১।২।১৫)
ভগবৎপূজ্যপাদ্ শঙ্করাচার্য্যের শাঙ্করভাষ্য অনুসারে ভাবার্থঃ- সমস্ত বেদ অবিভাগে অর্থাৎ অবিরুদ্ধভাবে যে পদ অর্থাৎ লক্ষ্যবস্তুকে প্রতিপাদন করেন, সমস্ত শাস্ত্রীয় কর্ম্মসকল যাঁহাকে বলিয়া দেয় অর্থাৎ চিত্তশুদ্ধাদির মাধ্যমে যাঁহার প্রাপ্তির নিমিত্ত হয়, যাঁহার প্রাপ্তির ইচ্ছায় গুরুকুলবাসরূপ ব্রহ্মচর্য্য অর্থাৎ বেদ অধ্যয়ানাদি অথবা অন্যপ্রকার অর্থাৎ পবিত্রতা সংযমাদিরূপ ব্রহ্মচর্য্য পালন করেন, সেই লক্ষ্যবস্তুকে যাঁহাকে তুমি জানিতে চাহিতেছ তাহা তোমাকে সংক্ষেপে বলিতেছি- ইনি ওঙ্কারের স্বরূপ অর্থাৎ বাচ্য। যিনি এই ওঙ্কারের স্বরূপ অর্থাৎ ॐ শব্দের বাচ্য এবং 'ॐ' ই যাঁহার প্রতীক সেই লক্ষ্যবস্তু ইনি অর্থাৎ ব্রহ্ম যাঁহাকে তুমি জানিতে চাহিয়াছ।
No comments:
Post a Comment