Tuesday, 28 September 2021

শ্রবণেন্দ্রিয়ের দ্বারা যাঁহাকে কেহ শ্রবণ করিতে পারে না, পক্ষান্তরে যাঁহার নিমিত্ত শ্রবণেন্দ্রিয় সক্রিয় হয় তিনিই ব্রহ্মঃ-

 


সামবেদীয় কেন উপনিষদের প্রথম খণ্ডে- বর্ণিত আছে-

যচ্ছ্রোত্রেণ ন শৃণোতি যেন শ্রোত্রমিদং শ্রুতম্। তদেব ব্রহ্ম ত্বং বিদ্ধি ....৭

ভগবান শঙ্করাচার্য ভাষ্যে বলিতেছেন- "মনের বৃত্তিদ্বারা সংযুক্ত ও দিগ্দেবতাপরিচালিত আকাশের কার্য শ্রোত্রেন্দ্রিয় দ্বারা লোকে যাঁহাকে (যে ব্রহ্মকে) শুনিতে পায় না অর্থাৎ বিষয়ীভূত বা প্রকাশ করিতে পারে না, পরন্তু যাঁহার দ্বারা অর্থাৎ চৈতন্যস্বরূপ আত্মজ্যোতির দ্বারাই এই লোক প্রসিদ্ধ শ্রোত্রেন্দ্রিয় শ্রুত অর্থাৎ প্রকাশিত হয়। তাহাকেই তুমি ব্রহ্ম বলিয়া জানিবে।"

প্রত্যেক ইন্দ্রিয়ের এক একজন অধিষ্ঠাত্রী দেবতা আছেন। শ্রোত্রেন্দ্রিয়ের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হইতেছেন দিগ্দেবতা। ইন্দ্রিয়াধিষ্ঠাত্রী এই সকল দেবতাকর্তৃক পরিচালিত হইয়া ইন্দ্রিয়সকল কার্য করে। তবে এই শ্রোত্রেন্দ্রিয়ের শব্দ গ্রহণের ক্ষমতা কিন্তু আত্মচৈতন্যের সন্নিধিবশতঃই হইয়া থাকে। কিন্তু শ্রোত্রেন্দ্রিয় ব্রহ্মকে গ্রহণ করিতে পারেনা।

No comments:

আচার্য শ্রীহর্ষ ও খণ্ডনখণ্ডখাদ্যম্

  খৃষ্টীয় দশম ও একাদশ শতকে অদ্বৈতবেদান্তের ক্ষেত্র অনুর্বর হলেও অপরাপর দর্শনের ক্ষেত্র যে বিবিধ চিন্তা - শস্যসম্ভারে সমৃদ্ধ ...