ব্রহ্মজ্ঞানের উৎপত্তিতে বহিরঙ্গ সাধনের কথা ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, অদ্য #অন্তরঙ্গসাধন বিষয়ে আলোচনা করব। ভগবান শংকরাচার্য ব্রহ্মসূত্রের সর্বাপেক্ষা অধিকরণের ভাষ্যে বলছেন—
ব্রহ্মবিদ্যা
এতটাই মহাপ্রভাবশালিনী যে, যজ্ঞাদির দ্বারা ইহাকে প্রাপ্ত হতে ইচ্ছে করে, কিন্তু তাহলেও
ব্রহ্মবিদ্যা যজ্ঞাদি সাধনান্তর নিরপেক্ষ ও তত্ত্বমস্যাদি শব্দমাত্রগম্য হলেও ব্রহ্মবিদ্যার্থী
শমদমাদিযুক্ত হবেন, যেহেতু
'তস্মাদেবংবিচ্ছান্তো
দান্ত উপরতস্তিতিক্ষুঃ সমাহিতো ভূত্বাত্মন্যেবাত্মানং পশ্যতি'-(বৃহদারণ্যক উপনিষৎ-৪/৪/২৩)
"সেইহেতু
ধর্মাধর্মরূপ কর্মের সহিত আত্মা সম্পর্কযুক্ত নহে এপ্রকার যিনি জানেন, তিনি শান্ত অর্থাৎ
বাহ্যেন্দ্রিয়ব্যাপাররহিত, দান্ত অর্থাৎ অন্তঃকরণগত তৃষ্ণানিবৃত্ত, উপরত অর্থাৎ সমস্ত
কামনাশূন্য, তিতিক্ষু অর্থাৎ সুখদুঃখাদি দ্বন্দ্বসহিষ্ণু এবং সমাহিত অর্থাৎ একাগ্রচিত্ত
হয়ে আত্মাতে (-শরীরমধ্যে, প্রত্যক্ চৈতন্যস্বরূপ) আত্মাকে দর্শন করেন", এইপ্রকারে
ব্রহ্মবিদ্যার সাধনরূপে শমদমাদি বিহিত হয়েছে এবং যেহেতু যা বিহিত, তা অবশ্যই অনুষ্ঠেয়;
সুতরাং ব্রহ্মবিদ্যাতে শমদমাদিরও আবশ্যকতা আছে, তদ্বিহীন ব্যক্তির পক্ষে সেই বিদ্যা
তত্ত্বমস্যাদি শব্দমাত্রগম্যা নহে। আমি সাধনচতুষ্টয় শীর্ষক লেখাতে এই শমদমাদি বিষয়ে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ইতি.....
No comments:
Post a Comment