ভগবান্ শঙ্করাচার্য সামবেদীয় ছান্দোগ্য উপনিষদের ভাষ্যভূমিকায় স্পষ্ট বলেছেন— অদ্বৈতজ্ঞান হচ্ছে—নিষ্ক্রিয় আত্মাতে আরোপিত কর্তৃ-কর্মাদি কারক, ক্রিয়া ও তৎফলবিষয়ক নৈসর্গিক ভেদজ্ঞানের বিমর্দক; প্রকাশ বা আলোকজনিত রজ্জু প্রভৃতির স্বরূপ-নিশ্চয় যেরূপ রজ্জু প্রভৃতিতে সর্পাদির আরোপাত্মক জ্ঞানের নিবর্তক হয়, এটাও তদ্রূপ।
আর
উপাসনা হচ্ছে—শাস্ত্রানুসারে ব্যবস্থিত কোন একটি আলম্বন
(ধ্যানের বিষয়) অবলম্বন করে, তাতেই এমনভাবে
চিত্তবৃত্তির একাকার প্রবাহ সমুৎপাদন করতে হয় যে,
তার মধ্যে আর অন্যবিষয়ক জ্ঞান
উৎপন্ন হয়ে ওটার ব্যবধান
জন্মাতে না পারে, এটাই
উভয়ের মধ্যে বিশেষ। এই উপাসনাসমূহ সত্ত্বশুদ্ধিকর
অর্থাৎ মনের রজস্তমোবৃত্তি বিদূরিত
করে সত্ত্বগুণের বৃদ্ধি করে বলে বস্তুর
যথার্থ তত্ত্ব-প্রকাশক হয়; সুতরাং অদ্বৈতজ্ঞানলাভেরও
উপকারী বা সহায়, এবং
আলম্বনবিষয়ক হওয়ায় সুখসাধ্যও বটে। পূর্ব হতেই
কর্মাভ্যাস বা কর্ম সংস্কার
দৃঢ়তর থাকায় হঠাৎ কর্ম পরিত্যাগপূর্বক
উপাসনায় মনোনিবেশ করাই দুষ্কর; এজন্য
প্রথমেই কর্মাঙ্গ-বিষয়ক উপাসনা এই উপনিষদে উপন্যস্ত
হচ্ছে।.....
শ্রীশুভ
চৌধুরী
এপ্রিল
২৪, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
No comments:
Post a Comment