পূজ্যপাদ্
বার্ত্তিককার বৃহদারণ্যক ভাষ্যের বার্তিকে বলিয়াছেন-'দ্বিধেতং দ্বীতমিত্যাহুস্তদ্ভাবো দ্বৈতমুচ্যতে। তন্নিষেধন চাদ্বৈতং প্রত্যাগ্বস্ত্বভিধীয়তে।'-(বৃঃ
ভাঃ বাঃ ৪।৩।১৮০৭)
ইহার ভাব এই যে-'যাহা দুইভাগযুক্ত তাহা দ্বিত, তাহার যে ভাব, তাহা দ্বৈত; সেই দ্বৈতের নিষেধদ্বারা (সর্ব্বাধিষ্ঠানভূত) যে প্রত্যাগাত্মা অবশিষ্ট থাকেন, তিনি অদ্বৈতরূপে কথিত হন।'
ইনি সজাতীয় বিজাতীয় এবং স্বগতভেদহীন, স্বতঃপরিপূর্ণ স্বভাব; তদ্ব্যতিরিক্ত কিছুই পরমার্থতঃ নাই। অর্থাৎ শ্রুতির সমর্থন ও ব্যাখ্যার জন্য স্মৃতির সহায়তা গৃহীত হইলেও, শ্রুতি-মাত্র অনুসরণকারী যে দর্শনে সর্ব্বাধিষ্ঠানভূত একমাত্র নিরাকার নির্গুণ নির্ব্বিশেষ ব্রহ্ম ব্যতিরেকে কোন পদার্থের পারমার্থিক সত্তা স্বীকৃত হয় না, তাহাই অদ্বৈতবেদান্ত।
স্বগত, স্বজাতীয় ও বিজাতীয় ভেদ কি? বিদ্যারণ্য স্বামী বলিতেছেন-"পত্র, পুষ্প, ফল প্রভৃতি দ্বারা বৃক্ষের স্ব-অবয়ব-মধ্যস্থ যে ভেদ তাহাকে স্বগতভেদ বলে। একবৃক্ষের অন্যবৃক্ষ হইতে যে ভেদ তাহা স্বজাতীয় ভেদ, আর শিলা প্রভৃতি হইতে বৃক্ষের যে ভেদ তাহা বিজাতীয় ভেদ।"-(পঞ্চদশী, পঞ্চভূতবিবেক-প্রকরণ, ২০)
No comments:
Post a Comment