হে চন্দ্রচূড় মদনান্তক শূলপাণে
স্থাণো
গিরীশ গিরিজেশ মহেশ শম্ভো ।
ভূতেশ
ভীতভয়সূদন মামনাথং
সংসারদুঃখগহনাজ্জগদীশ
রক্ষ ||১||
ভাবার্থ
- হে চন্দ্রমৌলে! তুমি কন্দর্পকে সংহার
করেছ, হে শূলপাণে, তুমি
স্থাণু। হে গিরীশ, তুমি
গিরিজাপতি। হে মহেশ, শম্ভো,
তুমি ভীতগণের ভয় দূর কর।
হে জগদীশ্বর, তুমি অনাথ আমাকে
ভবদুঃখসঙ্কট হতে পরিত্রাণ কর
||১||
হে
পার্বতীহৃদয়বল্লভ চন্দ্রমৌলে
ভূতাধিপ
প্রমথনাথ গিরীশজাপ ।
হে
বামদেব ভব রুদ্র পিনাকপাণে
সংসারদুঃখগহনাজ্জগদীশ
রক্ষ ||২||
ভাবার্থ
- হে চন্দ্রশেখর, হে পার্বতীহৃদয়বল্লভ, হে চন্দ্রমৌলে,
হে ভূতাধিপ, হে প্রমথনাথ, হে
গিরীশ, হে জপ্যমন্ত্রস্বরূপ অথবা
হে নগেন্দ্রতনয়াপতে, হে বামদেব, হে
ভব, হে রুদ্র, হে
পিনাকপাণে! হে জগদীশ্বর, তুমি
আমাকে ভবদুঃখসঙ্কট হতে পরিত্রাণ কর
||২||
হে
নীলকণ্ঠ বৃষভধ্বজ পঞ্চবক্ত্র
লোকেশ
শেষবলয় প্রমথেশ শর্ব ।
হে
ধুর্জটে পশুপতে গিরিজাপতে মাং
সংসারদুঃখগহনাজ্জগদীশ
রক্ষ ||৩||
ভাবার্থ
- হে নীলকণ্ঠ, হে বৃষধ্বজ, হে
পঞ্চবদন ! হে লোকেশ, তুমি
অনন্তনাগকে বলয়রূপে ধারণ করেছ। হে
প্রমথেশ, তুমি ব্রহ্মাণ্ড সংহার
কর। হে ধূর্জটে! হে
পশুপতে! হে গিরিজাপতে, আমাকে
ভবদুঃখসঙ্কট হতে পরিত্রাণ কর
||৩||
হে
বিশ্বনাথ শিব শঙ্কর দেবদেব
গঙ্গাধর
প্রমথনায়ক নন্দিকেশ ।
বাণেশ্বরান্ধকরিপো
হর লোকনাথ
সংসারদুঃখগহনাজ্জগদীশ
রক্ষ ||৪||
ভাবার্থ
- হে বিশ্বনাথ, তুমি মঙ্গলালয় এবং
সকলের মঙ্গলবিধান করছ। হে দেবদেব,
তুমি গঙ্গাকে ধারণ করেছ এবং
তুমি প্রমথগণের অধিনায়ক । হে নন্দিকেশ্বর!
হে বাণেশ্বর! হে অন্ধকরিপো! হে
হর! হে লোকনাথ! হে
জগদীশ্বর ( আমাকে ) ভবদুঃখ-সঙ্কট হতে পরিত্রাণ কর
||৪||
বারাণসীপুরপতে
মণিকর্ণিকেশ
বীরেশ
দক্ষমখকাল বিভো গণেশ ।
সর্বজ্ঞ
সর্বহৃদয়ৈকনিবাস নাথ
সংসারদুঃখগহনাজ্জগদীশ
রক্ষ ||৫||
ভাবার্থ
- হে বিভো, তুমি বারাণসী পুরীর
অধীশ্বর, তুমি মণিকর্ণিকার অধিপতি,
তুমিই বীরেশ্বর এবং তুমিই দক্ষযজ্ঞের
বিনাশকারী। হে গণেশ্বর! তুমি
সকল জানছ এবং তুমি
নিরন্তর সকলের হৃদয়নিকেতনে অবস্থিতি কর। হে নাথ!
হে জগদীশ! ( আমাকে ) ভবদুঃখ-সঙ্কট হতে পরিত্রাণ কর
||৫||
শ্রীমন্মহেশ্বর
কৃপাময় হে দয়ালো
হে
ব্যোমকেশ শিতিকণ্ঠ গণাধিনাথ ।
ভস্মাঙ্গরাগনৃকপালকলাপমাল
সংসারদুঃখগহনাজ্জগদীশ
রক্ষ ||৬||
ভাবার্থ
- হে শ্রীমন্! হে মহেশ্বর! তুমিই
কৃপাময় অর্থাৎ তোমার কৃপাতেই অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড প্রতিপালিত হচ্ছে। হে দয়ালো! হে
ব্যোমকেশ! হে শিতিকণ্ঠ! হে
ভূতগণের অধিপতি! তুমি ভস্ম দ্বারা
অঙ্গরাগ করে থাক এবং
নরকপালসমূহ নির্ম্মিত মালা ধারণ করেছ।
হে জগদীশ! ( আমাকে ) ভবদুঃখ-সঙ্কট হতে পরিত্রাণ কর
||৬||
কৈলাসশৈলবিনিবাস
বৃষাকপে হে
মৃত্যুঞ্জয়
ত্রিনয়ন ত্রিজগন্নিবাস ।
নারায়ণপ্রিয়
মদাপহ শক্তিনাথ
সংসারদুঃখগহনাজ্জগদীশ
রক্ষ ||৭||
ভাবার্থ
- হে ত্রিলোচন! কৈলাসশৈলোপরি তোমার বসতি, হে বৃষাকপে! হে
মৃত্যুঞ্জয়! ত্রিজগৎ তোমাতে অবস্থিত, তুমি নারায়ণের অতি
প্রিয়, তুমি সকলের মত্ততা
অপহরণ কর এবং তুমি
শক্তিনাথ, সকল শক্তিই তোমার
আশ্রিত! হে জগদীশ! ( আমাকে
) ভবদুঃখ সঙ্কট হতে পরিত্রাণ কর
||৭||
বিশ্বেশ
বিশ্বভবনাশিতবিশ্বরূপ
বিশ্বাত্মক
ত্রিভুবনৈকগুণাধিকেশ ।
হে
বিশ্ববন্দ্য করুণাময় দীনবন্ধো
সংসারদুঃখগহনাজ্জগদীশ
রক্ষ ||৮||
ভাবার্থ
- হে বিশ্বেশ্বর! বিশ্বের জন্ম তোমা হতে,
তুমিই বিশ্বপ্রপঞ্চরূপের বিনাশ করেছ, তুমিই বিশ্বময় এবং ত্রিভুবনে গুণসকল
একমাত্র তোমাকেই আশ্রয় করে আছে। হে
করুণাময়! এই অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড
তোমাকে অভিবাদন করছে এবং তুমিই
দীনজনের বন্ধু। হে জগদীশ! ( আমাকে
) ভবদুঃখ সঙ্কট হতে পরিত্রাণ কর
||৮||
গৌরীবিলাসভুবনায়
মহেশ্বরায়
পঞ্চাননায়
শরণাগতকল্পকায় ।
শর্বায়
সর্বজগতামধিপায় তস্মৈ
দারিদ্র্যদুঃখদহনায়
নমঃ শিবায় ||৯||
ভাবার্থ
- হে বিভো! যিনি গৌরীর বিলাসভূমি,
যিনি মহেশ্বর, যিনি পঞ্চবক্ত্র, যিনি
শরণাগত জনের সামর্থ্যদাতা, যিনি
শর্ব অর্থাৎ প্রলয়কালে জগৎ সংহার করেন,
যিনি সর্বজগতের অধিপতি, সেই দারিদ্র্যদুঃখদাহে অনলস্বরূপ শিবকে
নমস্কার ||৯||
|| ইতি
শ্রীমৎপরমহংস পরিব্রাজকাচার্য্যস্য শ্রীগোবিন্দ ভগবৎ পূজ্যপাদ শিষ্যস্য
শ্রীমচ্ছঙ্কর ভগবতঃ কৃতৌ শিবনামাবল্যষ্টকং সম্পূর্ণম্
||
ইতি
শ্রীমৎপরমহংস পরিব্রাজকাচার্য্য শ্রীগোবিন্দ ভগবৎপূজ্যপাদ শিষ্য
শ্রীমৎ শঙ্করাচার্য ভগবান্ বিরচিত শিবনামাবল্যষ্টক সমাপ্ত।...
No comments:
Post a Comment