১.'মনুষ্যত্ব, মুমুক্ষুত্ব ও মহাপুরুষের সঙ্গ, এই তিনটি এ জগতে দুর্লভ। কেবলমাত্র ঈশ্বরের বিশেষ অনুগ্রহে এগুলি পাওয়া যায়।'
-শঙ্করাচার্য্য (বিবেকচূড়ামণি-৩)
২.'শাস্ত্র ও আচার্য্যের বাক্যে ভক্তি, বিশ্বাসই শ্রদ্ধা নামে প্রসিদ্ধ। এবং সৎ-লক্ষ্যে চিত্তের একাগ্রতাই সমাধান বলিয়া কথিত হয়।'
-শঙ্করাচার্য্য (অপরোক্ষানুভূতি-৮)
৩.'শাস্ত্র ও গুরুবাক্যের সত্যতায় দৃঢ় বিশ্বাস রাখা ও অন্তরে সেই বিশ্বাসকে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ করাকে জ্ঞানীরা শ্রদ্ধা বলেন। এই শ্রদ্ধার সাহায্যে আত্মবস্তুর উপলব্ধি হয়।'
-শঙ্করাচার্য্য (বিবেকচূড়ামণি-২৫)
৪.'বেদান্তের অর্থ বিচারের দ্বারা উত্তম জ্ঞান উৎপন্ন হয়। এই জ্ঞান উৎপত্তির সাথে সাথে সংসারদুঃখের সর্বতোভাবে নাশ হয়।'
-শঙ্করাচার্য্য (বিবেকচূড়ামণি-৪৫)
৫.'অবিদ্যা হয়েছে শবল অর্থাৎ উপাধি যাঁর এমন যে ব্রহ্ম, তিনিই বিচার্য সৎ-শব্দবাচ্য।'
-শঙ্করাচার্য্য (পঞ্চীকরণসূত্র-২)
৬.'শাস্ত্ররূপ প্রমাণ হইতেই জগতের জন্মাদির কারণরূপে ব্রহ্ম অধিগত হন।'
-শঙ্করাচার্য্য (ব্রহ্মসূত্র শাঙ্করভাষ্য-১।১।৩)
৭.'এই গীতাশাস্ত্র সমস্ত বেদাৰ্থ সারসংগ্ৰহ স্বরূপ ও দুর্বিজ্ঞেয়ার্থ।'
-শঙ্করাচার্য্য (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শাঙ্করভাষ্য উপক্ৰমণিকা)
৮.'যে ব্যক্তি এই পবিত্র গীতাশাস্ত্র পাঠ করেন, তিনি ভয় ও শোকাদি শূন্য হয়ে বিষ্ণুধাম প্রাপ্ত হন।'
-শঙ্করাচার্য্য (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা মাহাত্ম্য)
৯.'মোক্ষের সাধনসমূহের মধ্যে ভক্তিই গরীয়সী। নিজের স্বরূপের সন্ধানকেই ভক্তি বলে অভিহিত করা হয়। আবার অন্য অনেকে আত্মার ও পরমাত্মার তত্ত্ব-বিচারকেই ভক্তি বলে থাকেন।'
-শঙ্করাচার্য্য (বিবেকচূড়ামণি-৩১)
১০.'কাম, ক্রোধ, লোভ ও মোহ চেষ্টা করে পরিত্যাগ কর। নিজের আত্মাকে জানার চেষ্টা কর, তুমি কে? এই আত্মজ্ঞান না হলে তুমি মূর্খই রয়ে যাবে। এই জীবন-মৃত্যু নরকময় সংসারে জন্ম জন্মান্তর ধরে পঁচতে হবে।'
-শঙ্করাচার্য্য (মোহমুদগর-১৫)
........................................................................
No comments:
Post a Comment