মানসম্বন্ধী বিষয়ে সর্বদা রত থাকিলে লৌকিক ঐশ্বর্যশ্রী প্রাপ্তি হয় বটে, কিন্তু সর্ব্বগুণ ও রূপবিহীন নিত্য চিদ্ঘন আনন্দস্বরূপ পরমশুদ্ধা ব্রাহ্মীশ্রী প্রাপ্তির উপায় বিষয়ে শ্রীমহাভারতের উদ্যোগপর্বের দ্বি-চত্বারিংশোহধ্যায়ের সনৎ-সুজাতীয় সম্বাদে পরমপ্রাচীন সনাতন ঋষি ভগবান সনৎ-সুজাত বলিতেছেন-
'দ্বারাণি সম্যক্ প্রবদন্তি সন্তো বহুপ্রকারাণি দুরাচরাণি।
সত্যার্জবে হ্রীর্দম শৌচ বিদ্যাঃ ষন্মান মোহ প্রতিবন্ধকানি।।৪৩।।
ভগবৎপাদ্ শঙ্করাচার্য্যের শাঙ্করভাষ্য অনুসারে ভাবার্থঃ- মান ও মোহের প্রতিবন্ধক অর্থাৎ বিনাশক সত্য তথা যথার্থ ভাষণ, আর্জব অর্থাৎ অকুটিলতা, হ্রী অর্থাৎ অন্যায় কার্য্য প্রবৃত্তিতে লজ্জা, দম অর্থাৎ অন্তরিন্দ্রিয় ও বহিরিন্দ্রিয় নিগ্রহ, শৌচ অর্থাৎ মলিনতা মার্জ্জন তথা বাহ্য মলিনতা মৃজ্জলাদি সহায়ে ও আন্তরমালিন্য চিত্তশুদ্ধির সাধনাভ্যাস দ্বারা ও ব্রহ্মবিদ্যা- বহুপ্রকার কষ্টসাধ্য সাধনের মধ্যে এই ছয়টিকে তত্ত্ববিদ্ সজ্জনগণ ব্রাহ্মীশ্রী অর্থাৎ মোক্ষস্বরূপের প্রবেশদ্বার রূপে বর্ণন করিয়া থাকেন। ৪৩
No comments:
Post a Comment