শ্রুতিতে এই বিষয়ে স্পষ্ট আলোচনা হইয়াছে। যথা—
"শাস্ত্রেণ
ন স্যাৎ পরমার্থদৃষ্টিঃ, কার্য্যক্ষমং পশ্যতি চাপরোক্ষম্। প্রারব্ধনাশাৎ প্রতিভাসনাশঃ,
এবং ত্রিধা নশ্যতি চাত্মমায়া।।"- (বরাহ উপনিষৎ-২/৬৯)
১.
শাস্ত্রের দ্বারা অর্থাৎ বেদান্তশাস্ত্র অধ্যয়নজনিত ব্রহ্মাত্মবিষয়ক পরোক্ষ জ্ঞানের
দ্বারা, মায়া ও তৎকার্য্য জগৎপ্রপঞ্চে পরমার্থ দৃষ্টি থাকে না। অর্থাৎ 'মায়া ও তৎকার্য্য
জগৎ পরমার্থতঃ আছে' এইপ্রকার বুদ্ধি বিনষ্ট হয়।
২.
আর অবিদ্যাধ্বংসী ব্রহ্মাত্মবিষয়ক অপরোক্ষকে জ্ঞানী কার্য্যক্ষমরূপে অর্থাৎ মায়া,
তৎকার্য্য জগৎ ও বন্ধনের বাধকরূপে দর্শন করেন।
৩.
প্রারব্ধের নাশ হইলে প্রতিভাস অর্থাৎ ব্রহ্মাত্মবিষয়ক অপরোক্ষ জ্ঞানের দ্বারা আবরণ
ও বিক্ষেপশক্তিযুক্তা মায়ার নাশ হইলেও, প্রারব্ধ কর্ম্মরূপ প্রতিবন্ধকবশতঃ বিক্ষেপশক্তির
অবিনষ্ট অংশবিশেষের বলে ব্রহ্মজ্ঞের দৃষ্টিতে 'দগ্ধ বস্ত্রের ন্যায়' যে মায়া ও তৎকার্য্য
জগৎপ্রপঞ্চের প্রতীতি হয়, তাহা বিনষ্ট হয়।
এইরূপে আত্মাশ্রিতা মায়া তিন প্রকারে বিনাশ প্রাপ্ত হয়।
No comments:
Post a Comment