ভগবান সূত্রকার স্বপ্নের প্রকাশক সাক্ষিচৈতন্যকে দৃষ্টান্তরূপে গ্রহণদ্বারা ব্রহ্মের বিবর্ত্তোপাদানতাকে দৃঢ়করতঃ অদ্বৈতবাদকে পরিস্ফুট করিতেছেন-
আত্মনি
চেব বিচিত্রাশ্চ হি৷৷- (ব্রহ্মসূত্র-২.১.১৮)
ভগবান
শঙ্করাচার্য ভাষ্যে বলিতেছেন—কিপ্রকারে স্বরূপের নাশ ব্যতিরেকেই এক ব্রহ্মে অনেকপ্রকার
আকারবিশিষ্ট সৃষ্টি হইবে?
যেহেতু-'ন
তত্র রথা ন রথযোগা ন পন্থানো ভবন্ত্যথ রথান্রথযোগান্পথঃ সৃজতে'-(বৃহদারণ্যক উপনিষৎ-৪/৩/১০)
অর্থাৎ
"সেখানে (—স্বপ্নে) রথসকল থাকে না, অশ্বসকল থাকে না এবং পথসকল থাকে না অথচ তিনি
রথসকল অশ্বসকল ও পথসকল সৃষ্টি করেন", ইত্যাদি শ্রুতিবাক্যের দ্বারা স্বপ্নদর্শী
এক আত্মাতেও স্বরূপের নাশ ব্যতিরেকেই অনেকপ্রকার আকারবিশিষ্ট সৃষ্টি পঠিত হইতেছে। আর
লোকমধ্যেও দেবতা প্রভৃতিতে এবং মায়াবী প্রভৃতিতে স্বরূপের নাশ ব্যতিরেকেই হস্তী ও
অশ্ব প্রভৃতি বিচিত্র সৃষ্টিসকল পরিদৃষ্ট হইতেছে। এইপ্রকারে এক ব্রহ্মেও স্বরূপের নাশ
ব্যতিরেকেই অনেকপ্রকার আকারবিশিষ্ট সৃষ্টি হইবে।
No comments:
Post a Comment