শঙ্করাচার্য ভগবদ্গীতার (১৮/১৯) ভাষ্যে বলিতেছেন—"ক্রিয়াকারকফলানাং সর্বেষাং গুণাত্মকত্বাত্ সত্ত্বরজস্তমোগুণভেদতঃ ত্রিবিধঃ ভেদঃ” অর্থাৎ ক্রিয়া, কারক ও ফল সব ত্রিগুণাত্মকই। অতএব গুণানুসারে তাহাদের ভেদ ত্রিবিধই। ইহাই ভগবান্ ভগবদ্গীতার মোক্ষযোগে বলিতেছেন—"কপিলের সাংখ্য-শাস্ত্রে জ্ঞান, কর্ম (ক্রিয়া) ও কর্তা - সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই ত্রিগুণভেদে তিন প্রকারই কথিত হইয়াছে।"
এই ত্রিবিধ কর্ম্মের সংজ্ঞা স্বয়ং ভগবান এই অধ্যায়ে বলিতেছেন—
নিয়তং
সঙ্গরহিতমরাগদ্বেষতঃ কৃতম্৷ অফলপ্রেপ্সুনা কর্ম যত্তত্সাত্ত্বিকমুচ্যতে৷৷ ২৩ ৷৷
অর্থাৎ
ফলাভিলাষরহিত ব্যক্তি রাগ বা দ্বেষ বর্জনপূর্বক আসক্তিশূন্য হইয়া যে নিত্যকর্ম করেন,
তাহাকে সাত্ত্বিক কর্ম বলে।২৩
যত্তু
কামেপ্সুনা কর্ম সাহঙ্কারেণ বা পুনঃ৷ ক্রিয়তে বহুলায়াসং তদ্রাজসমুদাহৃতম্৷৷২৪৷৷
এবং
ফলকামনা বা অহঙ্কারযুক্ত হইয়া বহু কষ্টসাধ্য যে কর্মের অনুষ্ঠান করা হয়, সেই সকল কর্ম
রাজসিক বলিয়া কথিত হয় । ২৪
অনুবন্ধং
ক্ষয়ং হিংসামনপেক্ষ্য চ পৌরুষম্৷ মোহাদারভ্যতে কর্ম যত্তত্তামসমুচ্যতে৷৷২৫৷৷
ভাবী শুভাশুভ পরিণাম, ধনক্ষয় বা শক্তিক্ষয়, পরপীড়া ও স্বসামর্থ্য বিচার না করিয়া অবিবেকবশতঃ যে কর্ম করা হয়, তাহা তামসিক বলিয়া উক্ত হয় । ২৫.......
No comments:
Post a Comment