"মামেকং শরণং ব্রজ" শ্রীগীতার এই শ্লোকের ব্যাখ্যায় পরমহংস পরিব্রাজকাচার্য শ্রীমধুসূদন সরস্বতী বলছেন শরণাগতি তিন প্রকার, সাধনের অভ্যাসের তারতম্য বশতঃ এই ভূমিকাভেদ হয়। শরণাগতির প্রথম ভূমিতে বোধ হয় 'আমি তাঁর'। এখানে মৃদু শরণাগতি; এর উদাহরণ দিচ্ছেন —হে নাথ, ভেদ চলে গেলেও চিরকাল আমি তোমার, 'তুমি যে আমার'— এটা কখনও নয়। সকলেই বলে সমুদ্রের তরঙ্গ; তরঙ্গের সমুদ্র কেউই বলে না।
দ্বিতীয়
ভূমিতে শরণাগতি মধ্যবলযুক্ত—এখানে বোধ হয় 'উনি আমার'। উদাহরণ দিচ্ছেন,
"জোর করে হাত ছেড়ে চলে যাচ্ছ, এতে বিস্মিত হবার কি আছে? আমার
হৃদয় হতে যদি চলে যেতে পার, তবে তোমার পৌরুষ আছে মনে করব"। এখানে ভক্ত
ভগবানকে তাঁর হৃদয়ের সর্বস্বধনভাবে পেয়েছেন— ভগবান্ তাঁরই, অন্য কারও নয়।
তৃতীয়
ভূমিতে অধিমাত্র—শরণাগতির অবধি; এখানে বোধ হয় 'আমিই তিনি', এর উদাহরণ "এই
সব, এবং আমি, পরম পুরুষ পরমেশ্বর যে বাসুদেব, সবই
এক, অনন্ত হৃদয়গত হলে এরূপ অচলা বুদ্ধি যাঁদের হয় তাঁদের ছেড়ে দূরে চলে যেও (এটা দূতের প্রতি যমের উক্তি)।".....
তথ্যসূত্রঃ-
আচার্য শ্রীশ্রী মধুসূদন সরস্বতী বিরচিত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা "গূঢ়ার্থদীপিকা" টীকা।
শ্রীশুভ
চৌধুরী
জুলাই
১৯, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
No comments:
Post a Comment