আচার্য বিমুক্তাত্মন্ ইষ্টসিদ্ধিতে বলেছেন—"ব্রহ্ম বিবর্ত্ত জগৎ। জগৎপ্রপঞ্চ মায়ার কার্য। মায়া অনির্বচনীয় সুতরাং মায়াময় বিশ্বপ্রপঞ্চও অনির্বচনীয়। মায়া বিশ্বপ্রপঞ্চ-চিত্রের উপাদান। জ্ঞানময় ব্রহ্ম বিশ্ব-চিত্রের ভিত্তি বা আশ্রয়, সাক্ষাৎ উপাদান নয়, বিবর্ত্তকারণ। চিত্রাবলী ভিত্তির সহজাত নয়, ওটা তার কোনরূপ গুণ, ধর্ম বা অবস্থান্তরও সূচনা করে না। কেবল কোনরূপ আশ্রয় ব্যতীত চিত্রাবলী থাকতে পারে না, এজন্য জগচ্চিত্রের ব্রহ্ম-ভিত্তি আবশ্যক। চিত্রের আশ্রয় বা ভিত্তি কিন্তু চিত্রাবলী না থাকলেও থাকতে পারে। চিত্র মুছে ফেললেও চিত্র-ভিত্তি চিত্রাবলীর উৎপত্তির পূর্বে যেরূপ ছিল সেরূপই থাকবে। চিত্রাবলী তার স্বরূপের কোন পরিবর্তন আনয়ন করবে না। ভিত্তি সর্বদাই অপরিবর্তনীয়।
ঐ
অপরিবর্তনীয় ব্রহ্ম-ভিত্তির গাত্রে জগচ্চিত্রের বিচিত্র রঙ্গ চলছে। জ্ঞানের
নির্মল সলিলে আবিদ্যক জগচ্চিত্র ধুয়ে মুছে ফেললে চিত্র-ভিত্তি সচ্চিদানন্দ ব্রহ্মই বিদ্যমান থাকবে। মায়াও থাকবে না, মায়ার খেলাও
থাকবে না। এটাই মায়া-চিত্রিত জগৎ ও তার
অধিষ্ঠান চিদানন্দঘন ব্রহ্মের সম্পর্ক বলে জানবে।".....
তথ্যসূত্রঃ-
"বেদান্ত দর্শন—অদ্বৈতবাদ" শীর্ষক গ্রন্থ, কাব্য-ব্যাকরণ-সাংখ্য-বেদান্ততীর্থ, বিদ্যাবাচস্পতি, অধ্যাপক শ্রীআশুতোষ ভট্টাচার্য শাস্ত্রী।....
শ্রীশুভ
চৌধুরী
জুন
২২, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
No comments:
Post a Comment