শুক্লযজুর্বেদীয় বাজসনেয়-সংহিতোপনিষৎ বা ঈশ উপনিষদে বর্ণিত আছে- এক্ষণে অনাত্মজ্ঞতা হেতু আত্মতত্ত্ব গ্রহণে অক্ষম অপর কর্ম্মনিষ্ঠ ব্যক্তির জন্য এই দ্বিতীয় মন্ত্র উপদেশ করিতেছেন-
কুর্বন্নেবেহ কর্মাণি জিজীবিষেচ্ছতং সমাঃ ৷
এবং ত্বয়ি নান্যথেতোস্তি ন কর্ম লিপ্যতে নরে ৷৷ ২ ৷৷
শঙ্করাচার্য্যের শাঙ্করভাষ্য অনুসারে ভাবার্থঃ-ইহজগতে শাস্ত্রবিহিত অগ্নিহোত্রাদি কর্ম্ম সম্পাদন করিয়াই শতবৎসর বাঁচিয়া থাকিতে ইচ্ছা করিবে। এই প্রকার নরত্বাভিমানী অর্থাৎ দেহে আত্মবুদ্ধি সম্পন্ন তোমার পক্ষে এই অগ্নিহোত্রাদি কর্ম্মকরণরত থাকা ভিন্ন উপায়ান্তর নাই যে প্রকার অবলম্বনে অশুভ কর্ম্মের দ্বারা তুমি লিপ্ত না হইতেছ। অতএব শাস্ত্রবিহিত অগ্নিহোত্রাদি কর্ম্ম সম্পাদন করিয়াই শতবৎসর বাঁচিয়া থাকিতে ইচ্ছা করিবে।....
দুইটি পথ সৃষ্টির প্রারম্ভ হইতে পরম্পরাগত-প্রথমে কর্ম্মমার্গ আর পরে সন্ন্যাস বা নিবৃত্তিমার্গ। এতদুভয়ের মধ্যে সন্ন্যাস পথই উৎকর্ষপ্রাপ্ত হয়। তৈত্তিরীয় শাখাতে আছে-সন্ন্যাসই উৎকৃষ্ট। বেদাচার্য্য ভগবৎ ব্যাসদেব বিচার করিয়া পুত্রকে নিশ্চিত সিদ্ধান্ত বলিয়াছিলেন-
'দুইটি পথ আছে যাহাতে বেদ প্রতিষ্ঠিত। এক প্রবৃত্তিলক্ষণ ধর্ম্ম মার্গ এবং অপর সুচিন্তিত নিবৃত্তি মার্গ।'-(মহাভারত, শান্তিপর্ব্ব, ২৪১।৬)
No comments:
Post a Comment