শুক্লযজুর্ব্বেদীয় বাজসনেয়-সংহিতোপনিষদে বর্ণিত আছে-
পূষন্নেকর্ষে
যম সূর্য প্রাজাপত্য ব্যূহ রশ্মীন্ ।
সমূহ
তেজো যত্তে রূপং কল্যাণতমং তত্তে পশ্যামি
যোঽসাবসৌ
পুরুষঃ সোঽহমস্মি ॥ ঈশোপনিষৎ ১৬ ॥
ভগবান
শঙ্করাচার্য্য ভাষ্যে বলিতেছেন-
হে
পূষন্! জগতকে পোষণ করেন বলিয়া রবি হইতেছেন পূষা, তথা একাকী গমন করেন বলিয়া একর্ষি,
হে একর্ষে! আর সকলকে নিয়মিত করেন বলিয়া যম; হে যম! আর রশ্মি, প্রাণ ও রসসমূহের গ্রাহক
বলিয়া সূর্য; হে সূর্য! প্রজাপতির অপত্য বলিয়া প্রাজাপত্য; হে প্রাজাপত্য! স্বীয়
রশ্মিসমূহকে ব্যূহ অর্থাৎ দূর কর। তেজ অর্থাৎ তোমার জ্যোতিকে একত্রিত অর্থাৎ উপসংহার
কর। তোমার যে অত্যন্ত সুন্দর কল্যাণতমরূপ আছে তাহা তোমার নিজ কৃপায় আমি দেখিব। কিন্তু
আমি ভৃত্যের ন্যায় তোমার নিকট প্রার্থনা করিতেছি না। কেন না ঐ যে ব্যাহৃতিরূপ অবয়বসম্পন্ন
ঐ আদিত্যমণ্ডলস্থ পুরুষ, যিনি পুরুষাকার বলিয়া অথবা যিনি প্রাণ ও বুদ্ধিরূপে নিখিল
জগৎ পূর্ণ করিয়াছেন বলিয়া অথবা যিনি হৃদয়পুরে শয়ন করেন বলিয়া পুরুষ। 'সোঽহম্ অস্মি
ভবামি' অর্থাৎ তিনিই (-সেই পুরুষই) আমি।
No comments:
Post a Comment