|| শ্রীগণেশায় নমঃ ||
শ্রিয়ায়ুতং ত্রিদেহতাপপাপরাশিনাশকং
মুনীন্দ্রসিদ্ধসাধ্যদেবদানবৈরভিষ্টুতম্ ।
তটেস্তি যজ্ঞপর্বতস্য মুক্তিদং সুখাকরং
নমামি ব্রহ্মপুষ্করং সবৈষ্ণবং সশঙ্করম্ ||১||
ভাবার্থ - যিনি শ্রীমান্, যিনি স্থুল সূক্ষ্ম
ও কারণদেহস্থ আধ্যাত্মিক, আধিদৈব ও আধিভৌতিক এই তাপত্রয় ও পাতকপুঞ্জ বিনাশ করেন ঋষিশ্রেষ্ঠগণ,
সিদ্ধবৃন্দ, সাধ্যগণ ও সুরাসুরগণ যার স্তব করেন, যিনি যজ্ঞশৈলের তটদেশে অধিষ্ঠিত, যিনি
মোক্ষপ্রদ ও সুখের আকর, সেই স-বৈষ্ণব সশঙ্কর ব্রহ্মপুষ্কর প্রণাম করি ||১||
সদার্যমাসশুষ্কপঞ্চবাসরে বরাগতং
তদন্যথান্তরিক্ষগং সুতন্ত্রভাবনানুগম্ ।
তদম্বুপানমজ্জনং দৃশাং সদামৃতাকরং
নমামি ব্রহ্মপুষ্করং সবৈষ্ণবং সশঙ্করম্ ||২||
ভাবার্থ - যিনি পুণ্য কার্তিকমাসের শুক্লপক্ষীয়
( অন্তিম ) পঞ্চদিবসে প্রাদুর্ভূত হন, তদ্ভিন্ন অন্য সময়ে গগনমার্গে অধিষ্ঠান করেন,
একাগ্রচিন্তে ধ্যান করলে যাকে লাভ করা যায়, যাতে স্নান বা যার জল পান এবং দর্শন করলে
সুখলাভ হয়, সেই স-বৈষ্ণব স-শঙ্কর ব্রহ্মপুষ্করকে প্রণাম করি ||২||
ত্রিপুষ্কর ত্রিপুষ্কর ত্রিপুষ্করেতি সংস্মরেৎ
সুদূরদেশগোঽপি যস্তদঙ্গপাপনাশনম্ ।
প্রপন্নদুঃখভঞ্জনং সুরঞ্জনং সুধাকরং
নমামি ব্রহ্মপুষ্করং সবৈষ্ণবং সশঙ্করম্ ||৩||
ভাবার্থ - দুরদেশে অবস্থান করেও যে ব্যক্তি “ত্রিপুষ্কর,
ত্রিপুষ্কর, ত্রিপুষ্কর' এই নাম স্মরণ করে, তার শরীরস্থিত যাবতীয় পাতক বিলয় প্রাপ্ত
হয়। যিনি আশ্রিতজনের ক্লেশ দূর করেন, যিনি সকলের চিত্তরঞ্জন করেন এবং যিনি অমৃতের
আধার, দেই স-বৈষ্ণব স-শঙ্কর ব্রহ্মপুষ্করকে প্রণাম করি ||৩||
মৃকণ্ডুমঙ্কণৌ পুলস্ত্যকণ্বপর্বতাসিতা
অগস্ত্যভার্গবৌ দধীচিনারদৌ শুকাদয়ঃ।
সপদ্মতীর্থপাবনৈকদ্দষ্ট্যো দয়াকরং
নমামি ব্রহ্মপুষ্করং সবৈষ্ণবং সশঙ্করম্ ||৪||
ভাবার্থ - মৃকণ্ডু, মঙ্কণ, পুলস্ত্য, কণ্ব, পর্বত,
শুক প্রভৃতি- ঋষিগণ নিজ নিজ জনপাবন দৃষ্টি যে পদ্ম ( পুষ্কর ) তীর্থে একমাত্র নিবন্ধ
রেখেছেন, করুণার আকর সেই স-বৈষ্ণব স-শঙ্কর ব্রহ্মপু্ষ্করকে প্রণাম করি ||৪||
সদা পিতামহেক্ষিতং বরাহবিষ্ণুনেক্ষিতং
তথাঽমরেশ্বরেক্ষিতং সুরাসুরৈঃ সমীক্ষিতম্ ।
ইহৈব ভুক্তিমুক্তিদং প্রজাকরং ঘনাকরং
নমামি ব্রহ্মপুষ্করং সবৈষ্ণবং সশঙ্করম্ ||৫||
ভাবার্থ - পিতামহ ব্রহ্মা, বরাহরূপী হরি, সুরপতি
ইন্দ্র ও অপরাপর দেবদানবেরা নিরন্তর যাকে দর্শন করেন, যিনি ইহধামেই ভুক্তি, মুক্তি,
সন্ততি ও ধনসম্পত্তি প্রদান করেন, সেই স-বৈষ্ণব স-শঙ্কর ব্রহ্মপুষ্করকে প্রণাম করি
||৫||
ত্রিদণ্ডিদণ্ডিব্রহ্মচারিতাপসৈঃ সুসেবিতং
পুরার্ধচন্দ্রপ্রাপ্তদেবনন্দিকেশ্বরাভিধৈঃ ।
সবৈদ্যনাথনীলকণ্ঠসেবিতং সুধাকরং
নমামি ব্রহ্মপুষ্করং সবৈষ্ণবং সশঙ্করম্ ||৬||
ভাবার্থ - ত্রিদণ্ডী, দণ্ডী, ব্রহ্মচারী ও তাপসবৃন্দ
যার সেবা করেন, অর্ধচন্দ্রধারী নন্দিকেশ্বরাখ্য দেব যার উপাসনা করেন, বৈদ্যনাথ ও নীলকণ্ঠ
যার সেবা করেন এবং যিনি অমৃতের আধার, সেই স-বৈষ্ণব, স-শঙ্কর ব্রহ্মপুষ্করকে প্রণাম
করি ||৬||
সুপঞ্চধা সরস্বতী বিরাজতে যদন্ত্তরে
তথৈকয়োজনায়তং বিভাতি তীর্থনায়কম্ ।
অনেকদৈবপৈত্রতীর্থসাগরং রসাকরং
নমামি ব্রহ্মপুষ্করং সবৈষ্ণবং সশঙ্করম্ ||৭||
ভাবার্থ - সরস্বতী পঞ্চমূর্তিতে যার কিঞ্চিৎ দুরে
বিরাজ করছেন, যিনি একযোজনবিস্তৃত তীর্থরাজরূপে শোভমান, যিনি অসংখ্য দৈব ও পৈত্র তীর্থের
সমুদ্রস্বরূপ এবং যিনি রসের আধার, সেই স-বৈষ্ণব স-শঙ্কর ব্রহ্মপুষ্করকে প্রণাম করি
||৭||
যমাদিসংয়ুতো নরস্ত্রিপুষ্করং নিমজ্জতি
পিতামহশ্চ মাধবোপ্যুমাধবঃ প্রসন্নতাম্ ।
প্রয়াতি তৎপদং দদাত্যযত্নতো গুণাকরং
নমামি ব্রহ্মপুষ্করং সবৈষ্ণবং সশঙ্করম্ ||৮||
ভাবার্থ - যে ব্যক্তি যমাদিপরায়ণ হয়ে এই পু্ষ্করতীর্থে
স্নান করে, হরি-হর-ব্রহ্মা তার প্রতি প্রসন্ন হয়ে অনায়াসে স্ব স্ব পদ প্রদান করে থাকেন।
আমি এতাদৃশ গুণাকর স-বৈষ্ণব স-শঙ্কর ব্রহ্মপুষ্করকে প্রণাম করি ||৮||
ফলশ্রুতি :-
ইদং হি পুষ্করাষ্টকং সুনীতিনীরজাশ্রিতং
স্থিতং মদীয়মানসে কদাপি মাঽপগচ্ছতু ।
ত্রিসন্ধ্যমাপঠন্তি যে ত্রিপুষ্করাষ্টকং নরাঃ
প্রদীপ্তদেহভূষণা ভবন্তি মেশকিঙ্করাঃ ||৯||
ভাবার্থ - -এই পুষ্করাষ্টক সুনীতিরূপ কমলের আশ্রিত,
এ আমার মানসে ( মনন, অপ্সর মানসসরোবরে ) অধিষ্ঠিত হোক, যেন কখনও অন্যত্র গমন না করে।
যারা ত্রিসন্ধ্য এই ত্রিপুষ্করাষ্টক স্তোত্র পাঠ করে, তারা দিব্য তেজঃপুর্ণ শরীররূপ
অলঙ্কারে অলঙ্কত হয়ে রমাপতির কিঙ্করত্ব প্রাপ্ত হয় ||৯||
|| ইতি শ্রীমৎপরমহংস পরিব্রাজকাচার্য্যস্য শ্রীগোবিন্দ
ভগবৎ পূজ্যপাদ শিষ্যস্য শ্রীমচ্ছঙ্কর ভগবতঃ কৃতৌ শ্রীপুষ্করাষ্টকং সমাপ্তম্ ॥
ইতি শ্রীমৎপরমহংস পরিব্রাজকাচার্য্য শ্রীগোবিন্দ
ভগবৎ পূজ্যপাদ শিষ্য শ্রীমদ্ শঙ্করাচার্য বিরচিত শ্রীপুষ্করাষ্টক স্তোত্র সমাপ্ত।
No comments:
Post a Comment