শুক্লযজুর্বেদ সংহিতার দ্বাত্রিংশ অধ্যায়ের এই মন্ত্রাংশটুকুর ভাবার্থ নিয়া অনেক আলোচনা সমালোচনা হইয়া থাকে। আচার্য শঙ্কর শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের ভাষ্যে ইহার ভাবার্থ স্পষ্ট করিতেছেন-
নৈনমূর্ধ্বং
ন তির্যঞ্চং
ন
মধ্যে ন পরিজগ্রভৎ ।
ন
তস্য প্রতিমা অস্তি
যস্য
নাম মহদ্ যশঃ ॥
-(শ্বেতাশ্বতরোপনিষৎ-৪/১৯)
শাঙ্করভাষ্য
অনুবাদঃ- কূটস্থ ব্রহ্ম ঊর্দ্ধাদি কোন দিকে কাহারো গ্রহণযোগ্য নহে, অদ্বিতীয়ত্ব নিবন্ধন
কাহারো সঙ্গে তুলনার যোগ্যও নহে, এবং তাঁহার যশঃ কাল ও দিগাদি দ্বারা সীমাবদ্ধ নহে;
এই অভিপ্রায়ে বলিতেছেন-'নৈনমূর্ধ্বং' ইত্যাদি।
যেহেতু
এই আত্মা সর্ব্বপ্রকার পরিচ্ছেদরহিত নিরংশ ও নিরবয়ব, সেইহেতু কেহই তাহাঁকে ঊর্দ্ধ-অধঃ
প্রভৃতি দিকে গ্রহণ করিতে সমর্থ হয় না। সেই পরমেশ্বর অখণ্ড আনন্দানুভবস্বরূপ এবং দ্বিতীয়রহিত,
এইজন্য তাঁহার প্রতিমা অর্থাৎ উপমা নাই। দিক্ প্রভৃতি দ্বারা অপরিচ্ছিন্ন মহৎযশ কীর্ত্তিই
যাহার নাম অর্থাৎ কেবল কীর্ত্তি দ্বারা যাহার উল্লেখ মাত্র হয়, তাহার উপমা নাই।
No comments:
Post a Comment