"একো হি রুদ্রো ন দ্বিতীয়ায় তস্থু-
র্য
ইমাঁল্লোকানীশত ঈশনীভিঃ ।
প্রত্যঙ্
জনাস্তিষ্ঠতি সঞ্চুকোচান্তকালে
সংসৃজ্য
বিশ্বা ভুবনানি গোপাঃ ॥"
-(কৃষ্ণযজুর্বেদীয়
শ্বেতাশ্বতরোপনিষৎ-৩।২)
শঙ্করাচার্য
ভাষ্যে বলিতেছেন-যেহেতু রুদ্র (পরমাত্মা) একই; পরমার্থদর্শী ব্রহ্মবিদ্গণ দ্বিতীয় অপর
কোন বস্তুর জন্য অবস্থান করেন না, অর্থাৎ তাহারা অদ্বিতীয় রুদ্রকেই দর্শন করিয়াছেন,
দ্বিতীয় কোনবস্তু দর্শন করেন নাই। ঈশনী স্বশক্তি দ্বারা এই সমস্ত লোককে শাসন অর্থাৎ
নিয়মিতরূপে পরিচালিত করেন; এবং যিনি সকলজনের অন্তরস্থ, যিনি প্রত্যেক পুরুষের মধ্যে
বর্ত্তমান অর্থাৎ তিনি প্রত্যেক রূপের (বস্তুর) অনুরূপ রূপে প্রকটিত হইয়াছেন।
আরও অন্তকালে-প্রলয় সময়ে যিনি কোপ করিয়া থাকেন, সংহার করেন, কি করিয়া? বিশ্বভূবন সৃষ্টি করিয়া এবং তাহার গোপা গোপ্তা রক্ষক হইয়া (পরে সংহার করেন)। এইকথা বলা হইতেছে যে, পরমাত্মা অদ্বিতীয়, তিনি যে কুম্ভকারের ন্যায় নিজেকে মৃৎপিণ্ডের মত উপাদানকারণ রূপে গ্রহণ করেন, তাহা নহে; তবে কি? না, স্বীয় শক্তির বিক্ষেপ করেন বলিয়া সৃষ্টিকর্ত্তা ও নিয়ন্তা বলিয়া অভিহিত হইয়া থাকেন।
No comments:
Post a Comment