জীবের জাগ্রৎ, স্বপ্ন ও সুষুপ্তি এই তিনটি অবস্থা দেখতে পাওয়া যায়। মাণ্ডুক্য শ্রুতিতে
বর্ণিত আছে— "যত্র সুপ্তো ন কঞ্চন কামং কাময়তে ন কঞ্চন
স্বপ্নং পশ্যতি তৎ সুষুপ্তম্"-(মাণ্ডুক্যোপনিষৎ-৫) অর্থাৎ "সুষুপ্ত পুরুষ
যে স্থানে বা অবস্থায় কোনরূপ ভোগ্য বিষয় প্রার্থনা করে না; কোনরূপ স্বপ্ন দর্শন করে
না; তাই ‘সুষুপ্ত’।" সুপ্তি বা নিদ্রা দু’রকমের
হয়। একটিতে মানুষ স্বপ্ন দেখে, অন্যটিতে দেখে না। স্বপ্নহীন এই নিদ্রাকেই ‘সুষুপ্তি’
বলে। সুষুপ্তি অবস্থায় জীবের স্থূল বহিরিন্দ্রিয় ও অন্তঃকরণ ক্রিয়াশীল থাকে না।
একমাত্র অজ্ঞান-উপাধিই তখন জীবের বর্তমান থাকে।
অজ্ঞান-প্রতিবিম্ব
জীব তখন অন্তঃকরণ ও ইন্দ্রিয়ের বন্ধন হতে বিমুক্ত হয়ে অজ্ঞানের সাক্ষিরূপে বিরাজ
করে। ঐ অজ্ঞান-সাক্ষী জীব "প্রাজ্ঞ" নামে অভিহিত হয়ে থাকে এবং সুষুপ্তিকালীন
দিব্য আনন্দ ভোগ করে বলে তখন সে হয় আনন্দময়। শ্রুতি বলছে—"সুষুপ্তস্থান
একীভূতঃ প্রজ্ঞানঘন এবানন্দময়ো হ্যানন্দভুক্ চেতোমুখঃ প্রাজ্ঞস্তৃতীয়ঃ পাদঃ"-(মাণ্ডুক্যোপনিষৎ-৫)
সুষুপ্তি অবস্থায় এই প্রাজ্ঞ আত্মা সচ্চিদানন্দ পরমব্রহ্মে লীন হয়ে তাঁর সহিত সম্পূর্ণ
অভিন্ন হয়ে যায়। আনন্দঘন প্রাজ্ঞ আত্মার তখন কোন দ্বৈত বস্তুর জ্ঞান থাকে না। তুরীয়
আত্মারও কোন দ্বৈত জ্ঞান নেই। এবিষয়ে প্রাজ্ঞ ও তুরীয় এই উভয়ই তুল্য, পার্থক্য এই
যে সুষুপ্ত প্রাজ্ঞ আত্মার তমঃ বা নিদ্রারূপ অবিদ্যা-বীজ বর্তমান থাকে, সুতরাং সুষুপ্তি
অবস্থা ভেঙ্গে গেলে ওটাকে আবার মন ও ইন্দ্রিয়ের বন্ধনে বদ্ধ হয়ে মায়ার চক্রে ঘুরতে
হয়।
এই
যে সুপ্তিতে জীবের বাহ্যজ্ঞান রহিত স্বপ্নহীন সুষুপ্তি অবস্থা, প্রশ্ন আসতে পারে, তখন
জীবাত্মার অবস্থান কোথায় থাকে? ব্রহ্মসূত্রের তদভাবাধিকরণের প্রতিপাদ্য বিষয়
"ব্রহ্মই জীবের সুষুপ্তিস্থান"। 'সতাসোম্য তদা সংপন্নো ভবতি স্বমপীতো ভবতি'-(ছান্দোগ্য
উপনিষৎ-৬/৮/১) "হে সৌম্য! সেই সময় সতের (ব্রহ্মের) সহিত একীভূত হয়ে, স্বস্বরূপকে
প্রাপ্ত হয়", ইত্যাদি শ্রুতি রয়েছে। কোন কোন স্থলে শ্রুত হচ্ছে—তদাত্রৈতৎ
সুপ্তঃ সমস্তঃ সম্প্রসন্নঃ স্বপ্নং ন বিজানাত্যাসু তদা নাড়ীষু সৃপ্তো ভবতি’।-
(ছান্দোগ্য-৮/৬/৩) অর্থাৎ সেইস্থলে যখন জীব এতাদৃশ সুষুপ্ত, সমস্ত ও সম্প্রসন্ন (—বাহ্যবিষয়সহ
সম্বন্ধজনিত কালুষ্যরহিত) হয়ে স্বপ্ন দর্শন করে না, তখন এই নাড়ীসকলের মধ্যে প্রবিষ্ট
হয়, ইত্যাদি। অন্যস্থলে কিন্তু নাড়ীসকলকেই উল্লেখ করে শ্রুত হচ্ছে—"তাভিঃ
প্রত্যবসৃপ্য পুরীততি শেতে"-(বৃহদারণ্যক-২/১/১৯) "সেই নাড়ীসকলের দ্বারা
প্রত্যাবর্তন করে পুরীততে শয়ন করে", ইত্যাদি। কৌষীতকি উপনিষদের শ্রুতিতেও বলা
হয়েছে-‘যদা সুপ্তঃ স্বপ্নং ন কঞ্চন পশ্যতি অথাস্মিন্ প্রাণ এবৈকধা ভবতি।'-(কৌষীতকি-৪/১৯)
অর্থাৎ ঘুমন্ত মানুষ যখন কোন স্বপ্নই দেখে না, সুষুপ্তিতে মগ্ন, তখন সে এইসব নাড়ীর
মধ্যে থেকে প্রাণের (ব্রহ্মের) সঙ্গে একীভূত হয়ে যায়।
'অতঃ
প্রবোধোহস্মাৎ’।। (ব্রহ্মসূত্র-৩/২/৮) অর্থাৎ ব্রহ্ম বা আত্মাই
যখন জীবের সুষুপ্তিস্থান, তখন এই আত্মা থেকেই জীবের জাগরণও হয়ে থাকে। 'সত আগম্য ন বিদুঃ
সত আগচ্ছামহ ইতি'-(ছান্দোগ্য-৬/১০/২) অর্থাৎ
জীব
সৎ (-ব্রহ্ম) থেকে আসে, কিন্তু তা তারা জানে না যে ‘আমরা সৎ থেকে এসেছি'। সুষুপ্ত জীবেরই
পুনরায় জাগরণ হয়, অপরের নয়। এতে প্রমাণ কি? "ত ইহ ব্যাঘ্রো বা সিংহো বা বৃকো
বা বরাহো বা কীটো বা পতঙ্গো বা দংশো বা মশকো বা যদ্যদ্ভবন্তি তদাভবন্তি’।
(ছান্দোগ্য-৬/১০/২) পূর্বজন্মে (বা সুষুপ্তির আগে) পৃথিবীতে তারা বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ,
শূয়োর, কীট-পতঙ্গ, মাছি বা মশা ইত্যাদি যে রূপেই থাকুক না কেন, তাদের প্রত্যেককেই আবার
(কর্মফল অনুযায়ী) ফিরে আসতে হয়।
সুষুপ্তি-অবস্থা
থেকে বিচ্যুত হয়ে জীব যখন স্বপ্নরাজ্যে এসে পৌঁছায়, তখন জীবের অন্তঃকরণ ক্রিয়াশীল
হয়, (অবিদ্যা-প্রতিবিম্ব) জীব তখন অন্তঃকরণে প্রতিবিম্বিত হয়ে অন্তঃকরণস্থ সুখ, দুঃখ
ভোগ করে এবং ঐ সময় আমি সুখী, আমি দুঃখী, আমি জ্ঞাতা, আমি কর্তা এরূপে তার বিবিধ অভিমানের
উদয় হতে দেখা যায়। স্বপ্নাবস্থায় আমাদের ইন্দ্রিয় সকল বাহ্য বিষয় হতে বিরত হয়,
তখন কেবল মন ক্রিয়াশীল থাকে। মন যা আমাদের কাছে উপস্থিত করে তাই আমরা তখন প্রত্যক্ষ
করে থাকি। ভগবান্ শঙ্করাচার্য মাণ্ডুক্য শ্রুতির ভাষ্যে বলেছেন—"মন
স্বভাবতঃই ইন্দ্রিয়াপেক্ষা অন্তঃস্থ, স্বপ্নাবস্থায় তাঁর স্থান সেই মানস-বাসনাময় হয়,
একারণে তিনি অন্তঃপ্রজ্ঞ; আর শব্দাদি বিষয়বিহীন-কেবলই প্রকাশময় প্রজ্ঞার (জ্ঞানের)
বিষয়ী হয় বলে, তার নাম তৈজস।" বৃহদারণ্যক উপনিষদের শ্রুতিতে বলা হয়েছে-
‘তস্য বা এতস্য পুরুষস্য দ্বে এব স্থানে ভবত- ইদং
চ পরলোকস্থানঞ্চ। সন্ধ্যং তৃতীয় স্বপ্নস্থানং; তস্মিন্ সন্ধ্যে স্থানে তিষ্ঠন্নেতে
উভে স্থানে পশ্যতি ইদং চ পরলোকস্থানঞ্চ। অথ যথাক্রমোহয়ং পরলোকস্থানে ভবতি তমাক্রমং
আক্রম্য উভয়ান্ পাপমন আনন্দাংশ্চ পশ্যতি। স যত্র প্রস্বপিতি লোকস্য সর্বাবতো মাত্রামপাদায়
স্বয়ং বিহত্য স্বয়ং নির্মায় স্বেন ভাসা স্বেন জ্যোতিষা প্রস্বপিতি। অত্রায়ং পুরুষঃ
স্বয়ংজ্যোতির্ভবতি’।।-(বৃহদারণ্যক-৪/৩/৯)
অর্থাৎ
সেই পুরুষ অর্থাৎ জীবাত্মার স্থান হলো দুটি- ইহলোক আর পরলোক। এই দুটি জগতের সন্ধি হয়েছে
স্বপ্নস্থানে। এটি তৃতীয় স্থান। এই স্থানে অবস্থান করেই জীবাত্মা ইহলোক এবং পরলোক-
এই দুটি জগৎকেই দেখেন। মানুষ যা আশ্রয় করে অর্থাৎ যে সাধনাকে অবলম্বন করে পরলোকে যায়,
জীবাত্মাও তাকে অবলম্বন করেই পাপ (দুঃখ) এবং আনন্দ- এই দুটিকেই দেখেন। আবার যখন প্রসুপ্ত
হন, তখন জীবাত্মার জন্ম-গ্রহণ; শরীর ধারণ থেকে শুরু করে ইহজগতের যতগুলি উপাদান সবগুলি
আত্মসাৎ করে, তাকে ভেঙে-গুঁড়িয়ে আবার নতুনভাবে তৈরি করে এক অভিনব স্বপ্নরাজ্য গড়ে তোলেন-
আপনার জ্যোতি দিয়ে নিজের মতো করে। এই অবস্থায় পুরুষ হন স্বয়ংজ্যোতি।
‘ন তত্র রথা ন রথযোগা ন পন্থানো ভবন্ত্যথ রথান্
রথযোগান্ পথঃ সৃজতে। ন তত্রানন্দা মুদঃ প্রমুদো ভবন্ত্যথানন্দা মুদঃ প্রমুদঃ সৃজতে।
ন তত্র বেশান্তাঃ পুষ্করিণ্যঃ স্রবন্ত্যে ভবন্ত্যথ বেশান্তান্ পুষ্করিণীঃ স্রবন্তীঃ
সৃজতে; স হি কর্তা’।।-(বৃহদারণ্যক-৪/৩/১০)
অর্থাৎ
"দুস্তর পথ পাড়ি দেবার রথ নেই, রথ টানার অশ্ব নেই, এই আত্মাই আপন ইচ্ছায় নির্মাণ
করে নেন রথ, অশ্ব। যেখানে আমোদ নেই, প্রমোদ নেই, হর্ষ নেই, আনন্দ নেই স্বয়ংজ্যোতি আত্মা
আপন লীলাবিলাসে সেখানে সে-সবও সৃজন করে নেন। যেখানে নেই জলাশয় বা ডোবা, নেই পুকুর,
ইনিই সেখানে তা তৈরি করে নেন আপন ইচ্ছায়। তিনিই কর্তা। তাঁর যা কিছু প্রয়োজন স্বয়ংজ্যোতি
আত্মা ইচ্ছাশক্তি দিয়ে তা সবই পূরণ করে নেন।"
এখন
প্রশ্ন জাগ্রদবস্থার ন্যায় স্বপ্নেও সৃষ্টি কি পারমার্থিকী (—ব্যবহারিক সত্তাযুক্ত)
নাকি মায়াময়ী (—প্রাতিভাসিক সত্তাযুক্ত)? ব্রহ্মসূত্রের সন্ধ্যাধিকরণের প্রতিপাদ্য
বিষয় স্বাপ্নসৃষ্টি মিথ্যা। মায়ামাত্রং তু, কার্ৎস্ন্যেনানভিব্যক্তস্বরূপত্বাৎ’।।
(ব্রহ্মসূত্র-৩/২/৩) কিন্তু স্বপ্নে যে রথ ইত্যাদি কাম্যবস্তু সৃষ্ট হয়, তা মায়ামাত্র,
পরমার্থের গন্ধও নেই- কারণ উচিত দেশকালাদি প্রাপ্তির দ্বারা সমগ্রভাবে তার স্বরূপ অভিব্যক্ত
হয় না। অতএব স্বাপ্নপ্রপঞ্চ প্রাতিভাসিকই।
জাগরিত
অবস্থায় আমরা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য স্থূলজগৎকে প্রত্যক্ষ করি এবং এই প্রত্যক্ষের অন্তরালবর্তী
বিষয় দ্রষ্টা আত্মাকেও অনুভব করি। জাগরিত অবস্থায় অন্তঃকরণ সম্বলিত স্থূলদেহে আমি
দেহী, আমি শরীরী এরূপে জীবের অভিমান হয়ে থাকে, সুতরাং সেই অবস্থায় স্থূল শরীরকেই
জীবের উপাধি বলতে হয় এবং অন্তঃকরণ-সংযুক্ত স্থূলদেহেই জীব তখন প্রতিবিম্বিত হয়ে থাকে।
এরূপে দেখা যাচ্ছে যে, একই জীব জাগ্রৎ, স্বপ্ন, সুষুপ্তি এই ত্রিবিধ অবস্থায় তিনটি
বিভিন্ন উপাধি গ্রহণ করে। সুষুপ্তি অবস্থায় উপাধি অবিদ্যা, স্বপ্নাবস্থায় উপাধি অন্তঃকরণ
আর জাগরিত অবস্থায় উপাধি স্থূল দেহ।
শুক্ল-যজুর্ব্বেদীয়
বৃহদারণ্যক শ্রুতিতে জাগ্রৎ অবস্থাকে 'বুদ্ধান্ত' অবস্থা বলা হয়েছে-
‘স বা এষ এতস্মিন্ স্বপ্নে রত্বা চরিত্বা দৃষ্টৈবব
পুণ্যঞ্চ পাপঞ্চ পুনঃ প্রতিন্যায়ং প্রতিযোন্যাদ্রবতি বুদ্ধান্তায়ৈব। স যত্তত্র কিঞ্চিৎ
পশ্যতি অনন্বাগতস্তেন ভবত্যসঙ্গো হি অয়ং পুরুষ ইতি…’।-(বৃহদারণ্যক উপনিষৎ-৪/৩/১৬)
শঙ্করাচার্য
এই শ্রুতির ভাষ্যে বলছেন সেই এই পুরুষ, যিনি সুষুপ্তি অবস্থা হতে প্রত্যাগত হয়েছে,
স্বপ্নাবস্থায় স্বেচ্ছায় রমণ ও পরিভ্রমণ করে এবং পূণ্য ও পাপ দর্শন করে বুদ্ধান্ত বা
জাগ্রৎ অবস্থার উদ্দেশ্যে (প্রতিগমন করে)। (স্বপ্নে তিনি যা কিছুই দেখুন না কেন, তাতে
তাঁর কোন আসক্তি থাকে না) কেননা পুরুষ যদি স্বপ্নাবস্থায় সঙ্গবান্ কামনাবিশিষ্টই হত,
তাহলে জাগরিত অবস্থায় প্রত্যাগমনের পরেও নিশ্চয়ই স্বপ্নদৃষ্ট বিষয়ের সঙ্গজনিত পাপ পূণ্য
দ্বারা অবশ্যই লিপ্ত হত, তা যখন হয় না তখন পুরুষ নিশ্চয়ই 'অসঙ্গ'।
আবার
পরবর্তী শ্রুতিতে বলা হচ্ছে- "বুদ্ধান্তে অর্থাৎ জাগ্রৎ অবস্থায় এই দৃশ্যমান জগতে
রমণ ও পরিভ্রমণ করে এবং পাপ-পুণ্য দর্শন করে পুনর্ব্বার সেই পুরুষ স্বপ্নান্তের (স্বপ্নাবস্থার)
উদ্দেশ্যে ধাবিত হয়। স্বপ্নান্তে উপস্থিত হয়ে সেই পুরুষ জাগ্রদবস্থার দোষে বা গুণে
লিপ্ত হয় না, এতে সেই পুরুষের অসঙ্গত্ব সিদ্ধির কোন বাধা ঘটছে না।"
তদ্বিষয়ে
পরবর্তী শ্রুতি অপূর্ব দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করছে-"নদীর জলে এক মহামৎস্য অর্থাৎ
যে মৎস্য নদীর স্রোতাবেগে চালিত হয় না, বরং নিজে স্রোতোবেগকে স্থগিত করতে সমর্থ, এমন
স্বচ্ছন্দগতিশীল মৎস্য যেরূপ এপাড় থেকে ওপাড়ে
আবার এপাড়ে বিচরণ করলেও নদীগর্ভস্থ স্রোতোবেগের বশীভূত হয় না, এই পুরুষও ঠিক সেভাবেই
এই উভয় অন্তে (স্বপ্ন ও জাগ্রত অবস্থায়) যথাক্রমে সঞ্চরণ করে থাকেন।
আচার্য
শঙ্কর উক্ত শ্রুতির ভাষ্যান্তে বলছেন-"উক্ত দৃষ্টান্ত প্রদর্শনের ফল এই যে, পূর্বোক্ত
দেহেন্দ্রিয় সংঘাতরূপ মৃত্যু এবং দেহেন্দ্রিয়াদির প্রবর্তক কাম ও কর্ম্ম, এই সমস্তই
অনাত্ম-ধর্ম্ম, অর্থাৎ আত্মার ধর্ম্ম নয়; এই আত্মা দেহেন্দ্রিয়াদি হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন
প্রকার।"
শরীরস্থ
জীবের এই তিনটি অবস্থাই প্রসিদ্ধ। শরীর হতে অপসরণ বা মৃত্যু হল চতুর্থ অবস্থা। কিন্তু
মূর্চ্ছা অবস্থাকে জীবের পঞ্চম অবস্থারূপে গণ্য করা যায় না, কারণ পঞ্চম কোন অবস্থা
কিন্তু শ্রুতি বা স্মৃতিতে প্রসিদ্ধ নেই। মূর্চ্ছা সুষুপ্তের ও মৃতের অর্দ্ধধর্মযুক্ত।
...............................................................
শ্রীশুভ
চৌধুরী।
নভেম্বর
২৫, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।
No comments:
Post a Comment