শ্রীহর্ষ ও প্রকটার্থ বিবরণকারের সমসাময়িক কালেই আনুমানিক খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতকে শ্রীমদ্অদ্বৈতানন্দ বোধেন্দ্র সরস্বতী আবির্ভূত হন। তিনি চিদ্বিলাস নামেও পরিচিত। ১১৬৬-১২০০ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি কাঞ্চীকামকোটি সর্বজ্ঞ পীঠের মঠাধীশ ছিলেন। শ্রীহর্ষের বৃদ্ধ বয়সে তিনি প্রবল হয়ে উঠেন। প্রবাদ আছে—ইনি না কি শ্রীহর্ষকেও তর্কশাস্ত্রবিচারে পরাজিত করেছিলেন। তাছাড়া অভিনব গুপ্ত নামক একজন প্রসিদ্ধ তান্ত্রিককেও তিনি বিচারে পরাজিত করেছিলেন বলে জানা যায়। পরমতখণ্ডনে যেমন শ্রীহর্ষ, স্বমতস্থাপনে তদ্রূপ অদ্বৈতানন্দ অদ্বিতীয় হন। ইনি শাঙ্করভাষ্যের উপর "ব্রহ্মবিদ্যাভরণ" নামক এক অতি অপূর্ব টীকা রচনা করে ভগবান্ শঙ্করাচার্যের ভাষ্যধারার বিশেষ পুষ্টি সাধন করেছিলেন। এতদ্ব্যতীত শান্তিবিবরণ ও গুরুপ্রদীপ গ্রন্থও ইনি রচনা করেন।
তাঁর
পিতার নাম প্রেমেশ। দক্ষিণ ভারতের পিণাকিনী নদীর তীরে একটি গ্রামে আচার্য প্রকট হন। পূর্বাশ্রমে তাঁর নাম ছিল সীতাপতি। তিনি প্রায়শই চিদাম্বরমে আদি আচার্য কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মুক্তি লিঙ্গের পূজার্চনা করতেন। শিবস্বরূপ আচার্য তখন সর্বকর্ম বিস্মৃত হয়ে পরমানন্দে বিলীন হতেন। অবশেষে, চিদাম্বরমে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা দশমীতে চিদাকাশে দীপ্তিময় দেহ বিলীন করে তিনি বিদেহমুক্তি লাভ করেন।
তথ্যসূত্রঃ-
১.
শ্রীযোগেন্দ্রনাথ তর্কসাংখ্যবেদান্ততীর্থ অনুবাদিত "অদ্বৈতসিদ্ধিঃ" গ্রন্থের ভূমিকা।
২.
https://www.kamakoti.org/peeth/origin.html
শ্রীশুভ
চৌধুরী
৩১
শে ডিসেম্বর, ২০২৩ খৃষ্টাব্দ।
No comments:
Post a Comment