ভগবৎপাদ্ শ্রী শঙ্করাচার্য্য বিরচিত 'কনকধারাস্তোত্রম্' হরিপ্রিয়া মা লক্ষ্মীর একটী ভক্তিমূলক স্তুতি। বালক শঙ্কর গুরু-গৃহে অবস্থান সময়ে, একদা ভিক্ষার্থ গমন করে কোন নিঃস্ব বিপ্রের ভবনে প্রবিষ্ট হয়ে “ভিক্ষাং দেহী’ এই বাক্য বললেন। বিপ্ৰপত্নী তদ্বাক্য শ্রবণ করে বিষণ্ণ মনে বললেন, এই সংসারে সেই সুকৃতি জনগণের জীবন ধন্য, যাঁরা ভবাদৃশ ব্যক্তিবৃন্দকে সৰ্ব্বদা ভোজন দানে পরিতৃপ্ত করে সুখী হন। আমরা ভাগ্যহীন, দৈব কর্তৃক বঞ্চিত। এই বাক্য বলে আমলক ফল এনে ভিক্ষা দিলেন। দীন-দয়াল শঙ্কর করুণ-রস-গর্ভিণী এই বাণী শ্রবণে দয়াদ্র চিত্ত হয়ে তৎক্ষণাৎ পদ্মালয়া কমলাকে স্তুতি করলেন-
বন্দে বন্দারুমন্দারমিন্দিরানন্দকন্দলম্ ।
অমন্দানন্দসন্দোহবন্ধুরং সিন্ধুরাননম্ ॥
অঙ্গং হরেঃ পুলকভূষণমাশ্রয়ন্তী
ভৃঙ্গাঙ্গনেব মুকুলাভরণং তমালম্ ।
অঙ্গীকৃতাখিলবিভূতিরপাঙ্গলীলা
মাঙ্গল্যদাস্তু মম মঙ্গল়দেবতায়াঃ ||১||
ভাবার্থ - মুকুলাবৃত-তমালতরু আশ্রিতা ভ্রমরীর ন্যায়
যার, পুলক-ভূষিত নারায়ণ অঙ্গে নিবদ্ধ, অখিল বিভূতির আধার মঙ্গলদেবতা লক্ষ্মীর সেই অপাঙ্গলীলা
আমার মঙ্গলদাত্রী হোক ||১||
মুগ্ধা মুহুর্বিদধতী বদনে মুরারেঃ
প্রেমত্রপাপ্রণিহিতানি গতাগতানি ।
মালা দৃশোর্মধুকরীব মহোৎপলে যা
সা মে শ্রিয়ং দিশতু সাগরসম্ভবায়াঃ ||২||
ভাবার্থ - কমলে মধুকরীর ন্যায় যিনি মুরারি বদনে
প্রেম ও লজ্জার প্রেরণায় বারংবার গতায়াত করতেছেন, ক্ষীরোদতনয়ার সেই মুগ্ধ দৃষ্টিধারা
আমার সম্পৎপ্রদা হোক ||২||
আমীলিতাক্ষমধিগম্য মুদা মুকুন্দং
আনন্দকন্দমনিমেষমনঙ্গতন্ত্রম্ ।
আকেকরস্থিতকনীনিকপক্ষ্মনেত্রং
ভূত্যৈ ভবেন্মম ভুজঙ্গশয়াঙ্গনায়াঃ ||৩||
ভাবার্থ - আনন্দে অর্দ্ধ-নিমীলিত নয়ন, আনন্দ-মূল,
মদনাবেশ-মুগ্ধ নারায়ণকে লাভ করে যিনি নিমেষশূন্য হয়েছেন, যার তারা বক্রভাবে অবস্থিত
, শেষশায়ি-দয়িতার সেই পক্ষ্মল নয়ন আমার যেন ঐশ্বর্য্য সম্পাদন করেন ||৩||
বাহ্বন্তরে মধুজিতঃ শ্রিতকৌস্তুভে যা
হারাবলীব হরিনীলময়ী বিভাতি ।
কামপ্রদা ভগবতোঽপি কটাক্ষমালা
কল্যাণমাবহতু মে কমলালয়ায়াঃ ||৪||
ভাবার্থ - যিনি কৌস্তভমণিমণ্ডিত মধুসূদন-বক্ষঃস্থলে,
তারই কাল রংএ রঞ্জিত হারাবলীর ন্যায় শোভা পেয়ে থাকেন, ভগবানেরও মদন-সম্পাদিনী কমলালয়ার
সেই কটাক্ষমালা আমার কল্যাণবহা হোক ||৪||
কালাম্বুদালিললিতোরসি কৈটভারেঃ
ধারাধরে স্ফুরতি যা তডিদঙ্গনেব ।
মাতুস্সমস্তজগতাং মহনীয়মূর্তিঃ
ভদ্রাণি মে দিশতু ভার্গবনন্দনায়াঃ ||৫||
ভাবার্থ - যিনি জলধরমধ্যে সৌদামিনী-কমলিনীর ন্যায়,
কালাম্বুদ রমণীয় নারায়ণ-বক্ষঃস্থলে বিরাজ করেন, সমস্ত জগজ্জননী ভার্গবতনয়া লক্ষ্মীর
সে অর্হণীয় মূর্তি আমার মঙ্গল বিধান করুন ||৫||
প্রাপ্তং পদং প্রথমতঃ খলু যৎপ্রভাবান্-
মাঙ্গল্যভাজি মধুমাথিনি মন্মথেন ।
ময়্যাপতেত্তদিহ মন্থরমীক্ষণার্ধং
মন্দালসং চ মকরালয়কন্যকায়াঃ ||৬||
ভাবার্থ - যার প্রভাবে পঞ্চশর, মঙ্গলালয় মধুসূদনে
প্রথমতঃ অধিকার প্রাপ্ত হয়েছিল, বারিধি-তনয়ার সেই মন্দালস অর্দ্ধদৃষ্টি মন্থরভাবে
(স্থিরভাবে) ইহজীবনে আমাতে নিপতিত হয় ||৬||
বিশ্বামরেন্দ্রপদবিভ্রমদানদক্ষং
আনন্দহেতুরধিকং মুরবিদ্বিষোঽপি ।
ঈষন্নিষীদতু ময়ি ক্ষণমীক্ষণার্ধ-
মিন্দীবরোদরসহোদরমিন্দিরায়াঃ ||৭||
ভাবার্থ - যিনি ইঙ্গিতমাত্রে সর্ব্বদেবরাজ ইন্দ্র-পদ
প্রদান করতে সমর্থ, যিনি স্বয়ং বৈকুণ্ঠনাথেরও অধিক আনন্দহেতু, ইন্দিরাদেবীর সেই নীল
কমল-গর্ভসুন্দর অর্দ্ধদৃষ্টি আমাতে ইষৎ নিপতিত হোক ||৭||
ইষ্টা বিশিষ্টমতয়োঽপি যয়া দয়ার্দ্র
দৃষ্ট্যা ত্রিবিষ্টপপদং সুলভং লভন্তে ।
দৃষ্টিঃ প্রহৃষ্টকমলোদরদীপ্তিরিষ্টাং
পুষ্টিং কৃষীষ্ট মম পুষ্করবিষ্টরায়াঃ ||৮||
ভাবার্থ - বিশিষ্টবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিগণও যার
প্রীতিপাত্র হয়েই তদীয় করুণার্দ্র দৃষ্টিপ্রভাবে অনায়াসে স্বর্গপদ লাভ করেন, সেই পদ্মাসনা
লক্ষ্মীর প্রফুল্লকমলগর্ভ-কমনীয়া দৃষ্টি আমার অভিলষিত পুষ্টি সম্পাদন করুন ||৮||
দদ্যাদ্দয়ানুপবনো দ্রবিণাম্বুধারাং
অস্মিন্নকিঞ্চনবিহঙ্গশিশৌ বিষণ্ণে ।
দুষ্কর্মঘর্মমপনীয় চিরায় দূরং
নারায়ণপ্রণয়িনীনয়নাম্বুবাহঃ ||৯||
ভাবার্থ - করুণারূপ অনুকুল পবন-মিলিত, হরিপ্রিয়া
দৃষ্টিপাতরূপী মেঘ, চিরসঞ্চিত চিরসঞ্চিত দুষ্কর্ম তাপরূপে অপনীত করে বিহঙ্গ-(চাতক)
শিশুরূপী যেন এই বিষণ্ন অকিঞ্চনকে ধন-জল দ্বারা প্রদান করেন ||৯||
গীর্দেবতেতি গরুডধ্বজসুন্দরীতি
শাকম্ভরীতি শশিশেখরবল্লভেতি ।
সৃষ্টিস্থিতিপ্রলয়কেলিষু সংস্থিতায়ৈ
তস্যৈ নমস্ত্রিভুবনৈকগুরোস্তরুণ্যৈ ||১০||
ভাবার্থ - যিনি সৃষ্টিলীলায় বাগ্দেবতা (ব্রাহ্মীশক্তি)
এইরূপে, স্থিতিলীলায় গরুড়ধ্বজসুন্দরী (বৈষ্ণবী শক্তি) এইরূপে বা শাকম্ভরী এইরূপে এবং
প্রলয়লীলায় শশিশেখর বল্লভা অর্থাৎ রুদ্রাণী এইরূপে অবস্থিতা , ত্রিভূবনের গুরু সেই
তরুণীকে প্রণাম করি ||১০||
শ্রুত্যৈ নমোঽস্তু শুভকর্মফলপ্রসূত্যৈ
রত্যৈ নমোঽস্তু রমণীয়গুণার্ণবায়ৈ ।
শক্ত্যৈ নমোঽস্তু শতপত্রনিকেতনায়ৈ
পুষ্ট্যৈ নমোঽস্তু পুরুষোত্তমবল্লভায়ৈ ||১১||
ভাবার্থ - যিনি শুভকর্ম্মফল প্রসবিনী শ্রুতিস্বরূপা,
তাকে নমস্কার; যিনি রমণীয়-গুণ-সাগরায়মাণারূপা, তাকে নমস্কার; যিনি কমলবাসিনী শক্তিরূপা,
তাকে নমস্কার; যিনি পুরুষোত্তমবল্লভা পুষ্টিরূপা, তাকে নমস্কার ||১১||
নমোঽস্তু নালীকনিভাননায়ৈ
নমোঽস্তু দুগ্ধোদধিজন্মভূম্যৈ ।
নমোঽস্তু সোমামৃতসোদরায়ৈ
নমোঽস্তু নারায়ণবল্লভায়ৈ ||১২||
ভাবার্থ - সেই কমলাননাকে নমস্কার, ক্ষীরোদসম্ভবাকে
নমস্কার, চন্দ্র ও অমৃতের সহোদরাকে নমস্কার, নারায়ণবল্লভাকে নমস্কার ||১২||
নমোহস্তু হেমাম্বুজপীঠিকায়ৈ,
নমোহস্তু ভূমণ্ডলনায়িকায়ৈ।
নমোহস্তু দেবাদিদয়াপরায়ৈ
নমোহস্তু শার্ঙ্গায়ুধবল্লভায়ৈ ||১৩||
ভাবার্থ - সেই স্বর্ণনির্মিত পদ্মাসনাকে নমস্কার,
ভূমন্ডলনায়িকাকে নমস্কার, দেবগনের প্রতি দয়াপরায়ণাকে নমস্কার, শার্ঙ্গায়ুধবল্লভাকে
নমস্কার ||১৩||
নমোহস্তু দেব্যৈ ভৃগুনন্দনায়ৈ,
নমোহস্তু বিষ্ণোরুরসি স্থিতায়ৈ।
নমোহস্তু লক্ষ্ম্যৈ কমলালয়ায়ৈ
নমোহস্তু দামোদরবল্লভায়ৈ ||১৪||
ভাবার্থ - সেই ভৃগুনন্দিনীকে নমস্কার, যিনি বিষ্ণুর
পবিত্র বুকে নিবাসী, তাকে নমস্কার। পদ্মের মধ্যে বসবাসকারী লক্ষ্মীকে নমস্কার, দামোদরবল্লভাকে
নমস্কার ||১৪||
নমোহস্তু কান্তৈ কমলেক্ষণায়ৈ
নমোহস্তু ভূত্যৈ ভূবণপ্রসুত্যৈ।
নমোহস্তু দেবাদিভিরর্চ্চিতায়ৈ
নমোহস্তু নন্দাত্মজবল্লভায়ৈ ||১৫||
ভাবার্থ - সেই দীপ্তি কমলনয়নাকে নমস্কার, ভুবন
প্রসবিনীকে নমস্কার। দেবগণ দ্বারা অর্চিতাকে নমস্কার, নন্দাত্মজবল্লভাকে নমস্কার
||১৫||
সম্পৎকরাণি সকলেন্দ্রিয়নন্দনানি
সাম্রাজ্যদানবিভবানি সরোরুহাক্ষি ।
ত্বদ্বন্দনানি দুরিতাহরণোদ্যতানি
মামেব মাতরনিশং কলয়ন্তু মান্যে ॥ ১৬॥
ভাবার্থ - হে কমলনয়নে, মান্যে, তোমার বন্দনা সম্পত্তিসম্পাদক,
সর্ব্বেন্দ্রিয়ের আনন্দদায়ক, সাম্রাজ্যদানে সমর্থ এবং পাপ-অপনয়নে সফল উদ্যম সম্পন্ন;
মাতঃ, ঐ সকল বন্দনা সর্ব্বদা যেন (কর্তৃরূপে) আমাকেই আশ্রয় করে||১৬||
যৎকটাক্ষসমুপাসনাবিধিঃ
সেবকস্য সকলার্থসম্পদঃ ।
সন্তনোতি বচনাঙ্গমানসৈঃ
স্ত্বাং মুরারিহৃদয়েশ্বরীং ভজে||১৭||
ভাবার্থ - যার কটাক্ষলাভের জন্য উপাসনাবিধি সেবকের
সর্ব্ববিধ অর্থসম্পদ্ সম্পাদন করে থাকে, নারায়ণ-হৃদয়েশ্বরী সেই তোমাকে কায়মনোবাক্যে
ভজনা করি||১৭||
সরসিজনিলয়ে সরোজহস্তে
ধবল়তমাংশুকগন্ধমাল্যশোভে ।
ভগবতি হরিবল্লভে মনোজ্ঞে
ত্রিভুবনভূতিকরি প্রসীদ মহ্যম্ ||১৮||
ভাবার্থ - হে কমলবাসিনী, হে কমলধারিণি, অতি শুভ্রগন্ধমাল্য-বস্ত্রসুশোভিতে,
ভগবতি, ত্রিলোকৈশ্বর্য্যবিধায়িনি, মনোরমে, শ্রীহরিবল্লভে, আমার প্রতি প্রসন্না হও
||১৮||
দিগ্ঘস্তিভিঃ কনককুম্ভমুখাবসৃষ্ট
স্বর্বাহিনী বিমলচারুজলপ্লুতাঙ্গীম্ ।
প্রাতর্নমামি জগতাং জননীমশেষ
লোকাধিনাথগৃহিণীমমৃতাব্ধিপুত্রীম্ ||১৯||
ভাবার্থ - দিগ্গজগণ, স্বর্ণকুম্ভমুখ বিগলিত নির্ম্মল
স্বর্গগঙ্গা রমণীয় সলিলে যাঁহার অভিষেক ক্রিয়া সম্পাদন করে, অশেষ লোকনাথগৃহিণী, সুধাসিন্ধু
নন্দিনী, সেই ত্রিজগজ্জননীকে প্রভাতে নমস্কার করি ||১৯||
কমলে কমলাক্ষবল্লভে ত্বং
করুণাপূরতরঙ্গিতৈরপাঙ্গৈঃ ।
অবলোকয় মামকিঞ্চনানাং
প্রথমং পাত্রমকৃত্রিমং দয়ায়াঃ||২০||
ভাবার্থ - হে পুণ্ডরীকাক্ষদয়িতে, কমলে, আমি অকিঞ্চনগণের
প্রধান এবং দয়ার অকৃত্রিম পাত্র, করুণাপ্রবাহ তরঙ্গিত অপাঙ্গে তুমি আমার প্রতি দৃষ্টিপাত
কর||২০||
দেবী প্রসীদ জগদীশ্বরী লোকমাতঃ,
কল্যাণগাত্রি কমলেক্ষণ জীবনাথে।
দারিদ্রভিতিহৃদয়ং শরণগতং মাম্,
অবলোকয় প্রতিদিনং সদৈরঙ্গৈঃ||২১||
ভাবার্থ - হে জগদীশ্বরী লোকমাতা, তুমি প্রসন্ন
হও। তোমার কমলনয়নের মত পবিত্র অঙ্গদৃষ্টি দ্বারা আমায় রক্ষা করো, আমায় ক্ষমা করো।
আমার হৃদয়ে দারিদ্র্যের ভীতি ভয়ে ভরা, তাই আমি তোমার শরণ নিয়েছি, তুমি তোমার অটল
করুনার সাথে প্রতিদিন অবলোকন করতে পারো ||২১||
স্তুবন্তি যে স্তুতিভিরমূভিরন্বহং
ত্রয়ীময়ীং ত্রিভুবনমাতরং রমাম্ ।
গুণাধিকা গুরুতরভাগ্যভাগিনো
ভবন্তি তে ভুবি বুধভাবিতাশয়াঃ ||২২||
ভাবার্থ - যার ত্রয়ীময়ী ত্রিভুবনমাতা রমার এইসকল
স্তুতি প্রত্যহ স্তব করেন, ভূতলে তার গুণাধিক এবং গুরুতর ভাগ্যের অধিকারী হন এবং তাঁদেরকে
অভিপ্রায় অবগত হবার জন্য বোদ্ধা ব্যক্তিরও চিন্তা করতে হয় ||২২||
॥ ইতি ভগবৎপাদ্ শ্রীমদ্ শঙ্করাচার্যকৃত
শ্রী কনকধারাস্তোত্রং সম্পূর্ণম্ ॥
হরিপ্রিয়া শঙ্করের স্তবে সন্তুষ্ট হয়ে অবিলম্বে
তৎ প্রাঙ্গণে প্রাদুর্ভূত হলেন, এবং শঙ্করকে বললেন, বটো! তোমার মঙ্গল হোক, বর গ্রহণ
কর। তখন বটুবর লক্ষ্মীকে সমীপবৰ্ত্তিনী দর্শন করে পুনর্বার স্তুতি করতে লাগলেন। কমলা
অধিক সন্তুষ্ট হয়ে বললেন, তুমি যে নিমিত্ত স্তুতি করছ তা অবিলম্বে গ্রহণ কর, আমি স্বয়ং
প্রসন্না হয়ে প্রদান করছি। তখন শঙ্কর, করুণা-রসাবিষ্ট-বুদ্ধির বাক্য শ্রবণ করে বললেন,
দেবি! যদি তুমি বরদা হলে, তবে এই বিপ্ৰপত্নীর ভবনে প্রবিষ্ট হয়ে গৃহ স্বর্ণে পূর্ণ
করে স্থির হও। এই প্রকার বটুবর কর্তৃক লক্ষ্মী নিয়োজিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্রাহ্মণের গৃহ
স্বর্ণে পূর্ণ করে অন্তর্হিতা হলেন। শঙ্করের কৃপা-দৃষ্টিতে ব্রাহ্মণ অত্যন্ত সমৃদ্ধিশালী
ও প্রভূত ধনের অধীশ্বর হয়ে সুখে কাল যাপন করতে লাগলেন। এতে বটুবরের সুপাবনী সৎকীৰ্ত্তি
লোকে প্রথিত হয়ে সজ্জন সমাজে শরদিন্দু-প্রভা তুল্য প্রকাশ পেতে লাগল, এবং তদবধি তার
“বেদ-মৰ্ম্ম-ভৰ্ত্তা” খ্যাতি লাভ হল।
No comments:
Post a Comment