Friday, 26 July 2019

বৈদিক শান্তিপাঠঃ- (শাঙ্করভাষ্য অনুসারে ভাবার্থ)

বৈদিক শান্তিপাঠঃ-



কৃষ্ণযজুর্বেদীয় কঠ উপনিষদের দ্বিতীয় অধ্যায়ের তৃতীয়া বল্লীতে বর্ণিত আছে-

সহ নাববতু , সহ নৌ ভুনক্তু , সহ বীর্যং করবাবহৈ।
তেজস্বী নাবধীতমস্তু , মা বিদ্বিষাবহৈ ।।১৯
ॐ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।।

ভগবৎপাদ শঙ্করাচার্য্য প্রণীত শাঙ্করভাষ্যানুসারে ভাবার্থঃ-

অনবধানতাবশতঃ অনুচিতভাবে বিদ্যার গ্রহণ ও বিদ্যার প্রদান নিমিত্ত শিষ্য ও আচার্য্যের দোষের নিবারণের জন্য এখন এই শান্তি বলা হইতেছে। তিনি এই অপরাবিদ্যার স্বরূপ প্রকাশ করিয়া আমাদের দুইজনকে সমভাবে ত্রাণ করুন।এই ত্রাণকর্তা, তিনি কে?

সেই উপনিষৎবেদ্য পরমেশ্বরই সেই ত্রাণকর্তা আর বিদ্যার ফল প্রকাশের মাধ্যমে আমাদের উভয়কে পালন করুন। তুল্যভাবে আমাদের উভয়ের দ্বারাই যেন এই অপরা বিদ্যাজনিত সামর্থ্য অর্থাৎ পরাবিদ্যা বা অনুভূতি লব্ধ হয়। আর তেজস্বী আমাদের উভয়ের দ্বারা যাহা পঠিত হইয়াছে তাহা সুপঠিত হউক। অথবা তাহা তেজস্বী হউক অর্থাৎ আমাদের দ্বারা যাহা অধীত হইয়াছে তাহা অত্যন্ত তেজস্বী-বীর্যবান অর্থাৎ তাৎপর্যের প্রকাশক হউক। আমরা শিষ্য ও আচার্য্য যেন পরস্পরকে দ্বেষ না করি অর্থাৎ অনবধানতাবশতঃ অনুচিতভাবে অধ্যয়ন ও অধ্যাপন দোষনিমিত্ত পরস্পকে যেন দ্বেষ না করি।
আর 'শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।।'-এইপ্রকার শান্তিশব্দের তিনবার উচ্চারণ আধ্যাত্মিকাদি সমস্ত দোষ নিবৃত্তির জন্য এবং 'ॐ' পদ উপনিষৎ সমাপ্তির জন্য।


No comments:

আচার্য শ্রীহর্ষ ও খণ্ডনখণ্ডখাদ্যম্

  খৃষ্টীয় দশম ও একাদশ শতকে অদ্বৈতবেদান্তের ক্ষেত্র অনুর্বর হলেও অপরাপর দর্শনের ক্ষেত্র যে বিবিধ চিন্তা - শস্যসম্ভারে সমৃদ্ধ ...