Friday, 26 July 2019

ভূমিকা






শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস প্রণীত সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারতের ভীষ্মপর্ব্বের অন্তর্গত। ভীষ্মপর্ব্বের ৩য় অধ্যায় হইতে ৪৩তম অধ্যায় পর্য্যন্ত-এই অংশের নাম ভগবদ্গীতাপর্ব্বাধ্যায়; কিন্তু পঞ্চবিংশতিতম অধ্যায়ে ভগবদ্গীতার প্রারম্ভ। মহাভারত যুদ্ধের পূর্বক্ষণে কুরুক্ষেত্র প্রান্তরের এই শ্রীকৃষ্ণার্জুনসংবাদই আজ বৈদিক ধর্মের সারগ্রন্থরূপে প্রখ্যাত। মহর্ষি ব্যাস বলিয়াছেন"যা স্বয়ং পদ্মনাভস্য মুখপদ্মাদ্বিনিঃসৃতা" অর্থাৎ সাক্ষাৎ পদ্মনাভ শ্রীভগবানের মুখপদ্ম বিনিঃসৃত শ্রীগীতা। ব্যাসদেব আরও বলিয়াছেন"সর্বশাস্ত্রময়ী গীতা সর্বদেবময়ী য্তঃ" অর্থাৎ শ্রীগীতা সর্বশাস্ত্রময়ী, শ্রীহরি (গোবিন্দ) সর্বদেবময়।

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বুঝিতে হইলে ইহার দর্শন উৎস জানা প্রয়োজন। শাস্ত্রের মূল বেদ, এই বেদার্থ সার হইল শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা। ভগবৎপাদ্ শঙ্করাচার্য তদীয় গীতাভাষ্যের প্রারম্ভে বলিয়াছেন"গীতা-শাস্ত্রং সমস্ত-বেদার্থ-সার-সঙ্গ্রহ-ভূতং দুর্বিজ্ঞেয়-অর্থম্" অর্থাৎ এই গীতাশাস্ত্র সমস্ত বেদাৰ্থ সারসংগ্ৰহ স্বরূপ ও দুর্বিজ্ঞেয়ার্থ। স্কন্দপুরাণে বর্ণিত আছে— "ভগবান বিষ্ণু চারি বেদের সার উদ্ধার করিয়া ত্রিভুবনের উপকারের জন্য এই গীতাশাস্ত্রপ্রকাশ করিয়াছেন।" চিদানন্দস্বরূপ শ্রীকৃষ্ণ নিজমুখে বেদত্রয়রূপা পরমানন্দা তত্ত্বার্থজ্ঞানসংযুক্তা এই গীতা অর্জুনকে বলিয়াছেন। গীতার অপর নাম গীতোপনিষৎ। শ্রীভগবদ্গীতা উপনিষদের সারগ্রন্থ। বেদের উপনিষদ্ভাগে আত্মা (ব্রহ্ম), ঈশ্বর, জীব, জগৎ-সম্বন্ধে যে সকল সত্য লিপিবদ্ধ আছে, এই গীতার মধ্যে ঠিক সেই সব দেখিতে পাওয়া যায়। স্থানে স্থানে উপনিষদের ভাষা পৰ্যন্ত দেখিতে পাওয়া যায়। সেই জন্যে গীতা উপনিষৎ মধ্যে গণ্য হইয়া থাকে এবং গীতার অপর নাম গীতোপনিষৎ। গীতার ধ্যানে বলা হইয়াছে—"উপনিষদাবলী গাভীসমূহ, সেই-সকল গাভীর দোগ্ধা শ্রীকৃষ্ণ, বৎস অর্জুন, মহাদুগ্ধ অমৃতময়ী গীতা এবং বিবেকিগণই এই দুগ্ধের পানকর্তা।" এই উপনিষদগুলো জুড়িয়া যে জ্ঞান ও দর্শনের উন্মেষ ঘটিয়াছিল, তাহা হইতেই পরবর্তীতে শ্রেষ্ঠ প্রস্থানগুলির জন্ম যা প্রস্থানত্রয়ী নামে প্রসিদ্ধ। প্রস্থানত্রয় বা প্রস্থানত্রয়ী বলতে প্রধানত বেদান্তের  তিনটি প্রস্থান তথা মোক্ষমার্গকে বোঝায়। এগুলি হইল:- উপনিষদসমূহ বা শ্রুতিপ্রস্থান, ব্রহ্মসূত্র বা ন্যায়প্রস্থান, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বা স্মৃতিপ্রস্থান।

এই গুহ্যতত্ত্ব ভগবান যে শুধু অর্জুনকে বলিয়াছিলেন তাহা নহে, তদপূর্বে এই পুরাতন অব্যয়যোগ সূর্যকে বলিয়াছিলেন, সূর্য স্বপুত্র মনুকে, মনু স্বপুত্র ইক্ষ্বাকুকে বলিয়াছেন, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার জ্ঞানযোগে ভগবান স্বয়ংই সেই পরম্পরার কথা স্পষ্ট উল্লেখ করিয়াছেন।

শ্রীভগবান্‌ বলিলেন-"এই অব্যয় যোগ আমি সূর্যকে বলিয়াছিলাম। সূর্য (স্বপুত্র) মনুকে এবং মনু (স্বপুত্র) ইক্ষ্বাকুকে ইহা বলিয়াছিলেন। এইরূপে পুরুষপরম্পরা প্রাপ্ত এই যোগ রাজর্ষিগণ বিদিত ছিলেন। হে পরন্তপ, ইহলোকে সেই যোগ দীর্ঘকালবশে নষ্ট অর্থাৎ সম্প্রদায়ক্রমে বিচ্ছিন্ন হইয়াছে। তুমি আমার ভক্ত ও সখা, এই জন্য এই সেই পুরাতন যোগ অদ্য তোমাকে বলিলাম; কারণ, এটা উত্তম গুহ্যতত্ত্ব।"

ভগবৎপাদ্ শঙ্করাচার্য শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ভাষ্যের উপক্রমণিকাতে বলিয়াছেন—"তিনি যদিও জন্ম রহিত, সৰ্ব্ব ভূতেশ্বর, নিত্য, শুদ্ধ, বুদ্ধ, মুক্তস্বভাব পরমাত্মম্বরূপ, তথাপি লোকানুগ্রহার্থে স্বীয় ঐশ্বর্য্য, শক্তি, বল, বীর্য্য ও তেজাদির দ্বারা ত্রিগুণাত্মিকা আপন বৈষ্ণবী মায়াকে বশীভূত করিয়া দেহধারণপূর্বক জন্ম পরিগ্ৰহ করিয়া থাকেন। তার স্বপ্রয়োজন না থাকিলেও ভূত সকলের প্রতি কৃপা ইচ্ছা করিয়া এইপ্রকার লীলা আবির্ভাব করিতে হয়। ভগবান যখন দেখিলেন, অর্জুন শোক মোহাদি সাগরে নিমগ্ন তখনই অৰ্জ্জুনকে বৈদিক ধৰ্ম্মদ্বয় (প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তি) উপদেশ করিয়াছিলেন। শ্রীভগবান কর্তৃক অৰ্জ্জুনকে লক্ষ্য করিয়া যথোপদিষ্ট সে ধৰ্ম্মই সৰ্ব্বজ্ঞ ভগবান বেদব্যাস সপ্তশত শ্লোকদ্বারা গীতানামে নিবদ্ধ করিয়াছেন।"

পণ্ডিতপ্রবর শ্রীমৎ মধুসূদন সরস্বতী 'গূঢ়ার্থদীপিকা' নামক শ্রীগীতার টীকায় বলিয়াছেনবেদের যেমন কর্ম, উপাসনা ও জ্ঞান - এই কাণ্ডত্রয় আছে, অষ্টাদশাধ্যায়ী গীতা তেমনি কাণ্ডত্রয়াত্মিকা। এই গীতাশাস্ত্রে এক একটি ষট্‌কে অর্থাৎ ছয় ছয় অধ্যায় সমষ্টিতে এক একটি কাণ্ড উপলক্ষিত বা নির্দেশিত হয়। তাহাদের মধ্যে প্রথম ও অন্তিম এই দুটি কাণ্ডে যথাক্রমে কর্মনিষ্ঠা ও জ্ঞাননিষ্ঠা কথিত হইয়াছে। এই উভয়ের মধ্যে অত্যন্ত বিরোধ রহিয়েছে, সুতরাং তাহাদের মধ্যে সমুচ্চয় অর্থাৎ মিলন হইতে পারে না। এজন্য মধ্যম কাণ্ডে ভগবৎভক্তি নিষ্ঠা কথিত হইয়াছে। সেই ভগবৎভক্তি নিষ্ঠা সমস্ত বিঘ্নের বিনাশ করিয়া কর্মনিষ্ঠা ও জ্ঞাননিষ্ঠা উভয়ের মধ্যে স্থিত এবং উভয়েরই উপকারক। সেই ভগবৎভক্তি নিষ্ঠা ত্রিবিধ, যথাকর্মমিশ্রা, শুদ্ধা এবং জ্ঞানমিশ্রা। গীতার ১ম ষট্‌কে "তত্ত্বমসি" মহাবাক্যের 'ত্বং' পদবাচ্য জীবের স্বরূপ, তার বিশুদ্ধির নিমিত্ত কর্ম ও তার ত্যাগ বিচার করা হইয়াছে, ২য় ষট্‌কে 'তৎ' পদবাচ্য যে পরমানন্দ ভগবান্, ভক্তিযোগ কথন দ্বারা তাঁহার স্বরূপ নির্ণয় করা হইয়াছে  ও ৩য় ষট্‌কে জীব (ত্বং) ও ব্রহ্মের (তৎ) অভেদতত্ত্ব 'অসি' প্রতিপন্ন হইয়াছে।

সহেতুক সংসারের অর্থাৎ সংসারের হেতু যে অবিদ্যা সেই অবিদ্যার সহিত সংসারের অত্যন্ত উপরমাত্মক অর্থাৎ আত্যন্তিকনিবৃত্তিরূপ পরম নিঃশ্রেয়স গীতা শাস্ত্রের প্রয়োজন। অর্থাৎ কিরূপে এই জন্মমরণচক্ররূপ দুঃখময় সংসার হইতে মুক্তি পাইয়া শাশ্বত সুখ লাভ করা যায় তাহা প্রতিপাদন করাই গীতা শাস্ত্রের প্রয়োজন। এই বিষয়ে ভগবৎপাদ্ ভাষ্যে বলিয়াছেন— এই গীতা-শাস্ত্রের সংক্ষেপতঃ প্রয়োজন পরম নিশ্রেয়স (পরম কল্যাণ)-যাঁহার লক্ষণ হইতেছে সহেতুক সংসারের অত্যন্ত উপরম বা শান্তি। সেই নিঃশ্রেয়স, সর্ব্বকর্ম্মসংন্যাসপূর্বক আত্মজ্ঞান-নিষ্ঠারূপ ধর্ম্ম হইতে লাভ হয়। আর একেই এই গীতার প্রতিপাদ্য রূপে উদ্দেশ্য করে ভগবান মহাভারতের শান্তিপর্ব্বের অনুগীতাতে বলিয়াছেন-'ব্রহ্মপদ বেদনে এই গীতোক্ত ধর্ম্ম সুপর্য্যাপ্ত।' এবং সেখানে ভগবান আরও বলিয়াছেন-'যিনি কোন কর্ম্মের দ্বারা ধর্ম্মী বা অধর্ম্মী হন না বা কোন কর্ম্মফলের দ্বারা শুভাশুভী হন না, যিনি একাসনে কিছুমাত্র চিন্তা না করিয়া, ব্রহ্মে লীন হইয়া তুষ্ণীম্ভাবে অবস্থান করেন, তিনি সেই নিঃশ্রেয়স প্রাপ্ত হন।পুরুষোত্তম শ্রীবিষ্ণুর সেই পরমপদ সচ্চিদানন্দস্বরূপ এবং পূর্ণ। এই গীতার অর্থ বিশেষরূপে জানিলে সমস্ত পুরুষার্থ সিদ্ধ হয়।

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা এমনই গূঢ়ার্থ গ্রন্থ যে, ভাষ্য ও টীকার সাহায্য ব্যতীত বোধগম্য হওয়া কষ্টসাধ্য। এযাবৎ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা উপর বহু ভাষ্য ও টীকাদি লিখিত হইয়াছে। তন্মধ্যে ভগবান্ শঙ্করাচার্য্য রচিত শাঙ্করভাষ্যই সর্বপ্রাচীনতম প্রাপ্ত ও আজ অবধি সর্বশ্রেষ্ঠ। শঙ্করাচার্য্যের পূর্বেও যে গীতার ভাষ্যটীকাদি রচিত হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। কারণ ভগবান্ শঙ্কর স্বয়ং স্বীয়ভাষ্যে পূর্ব্বের জ্ঞানকর্ম্মসমুচ্চয়বাদীদিগের যুক্তি খন্ডন করিয়াছেন। তবে সেই সব ভাষ্য বর্তমানে বিলুপ্ত। শঙ্করাচার্য্য সমুচ্চয়বাদ খণ্ডনপূর্বক অদ্বৈতবেদান্তানুযায়ী গীতাভাষ্য লিখিয়াছেন। গীতার ধ্যানেই শ্রীগীতার অন্তর্নিহিত তত্ত্ব কি সেটার স্পষ্ট ধারণা দেয়া আছে, যথা"অদ্বৈতামৃতবর্ষিণীং ভগবতীমষ্টাদশাধ্যায়িনীম্" অর্থাৎ অদ্বৈত তত্ত্বরূপ-অমৃতবর্ষিণী অষ্টাদশ-অধ্যায়রূপিণী ভগবতী।


শঙ্করের আবির্ভাবের পরবর্তীতে বিভিন্ন দার্শনিক সম্প্রদায়, যেমন বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী যামুন ও রামানুজ (১১শ শতক), দ্বৈতবাদী মধ্ব (১২শ শতক), দ্বৈতাদ্বৈতবাদী নিম্বার্কপন্থী কেশবকাশ্মীরী, শুদ্ধাদ্বৈত পুষ্টিমার্গের বল্লভ (১৪শ শতক), অচিন্ত্যভেদাভেদবাদী চৈতন্যপন্থী বলদেববিদ্যাভূষণ (১৮শ শতক) প্রভৃতি ভাষ্যকারেরা স্ব স্ব মতানুসারে ভাষ্য টীকাদি রচনা করিয়াছেন। কিন্তু গীতা-বেদান্তাদি শাস্ত্রের আলোচনায় ভগবান্ শঙ্করপ্রণীত শাঙ্করভাষ্যের এতটাই অপ্রতিহত প্রভাব ছিল যে তাহা শাস্ত্রার্থ বিচারে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত ছিল। পরবর্তী কালে এই শাঙ্করভাষ্যের উপরই অধিকাংশ প্রাজ্ঞ পন্ডিতদের টীকাদি রচিত হইয়াছিল। ভগবৎপাদ্ শঙ্করকৃত গীতা-ভাষ্যের উপর রামানন্দের ভগবদ্গীতা-ভাষ্য-ব্যাখ্যা, আনন্দজ্ঞানের গীতা-ভাষ্য-বিবেচন নামে টীকা আছে। তদব্যতীত শঙ্করানন্দের টীকা, ধনপতিসূরির ভাষ্যোৎকর্ষ-দীপিকা, বেঙ্কটনাথের টীকা, চিদঘনানন্দের গূঢ়ার্থ দীপিকা, রঘুনাথপ্রসাদের গীতামৃত-তরঙ্গিণী, মহাভারতের টীকাকার নীলকণ্ঠসূরিকৃত গীতার্থ প্রকাশ প্রভৃতি টীকার নাম উল্লেখযোগ্য। এই সকল টীকাই শাঙ্কর-ভাষ্যের ছায়া অবলম্বনে রচিত। মধুসূদন সরস্বতীকৃত গীতাগূঢ়ার্থ দীপিকা ও শ্রীধৱস্বামিকৃত গীতাসুবোধিনীও শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতার অতি উপাদেয় টীকা এই টীকাদ্বয় স্থলবিশেষে আচার্যের মতের বিরোধী হইলেও ইহাতে আচার্যের রচিত ভাষ্যের প্রভাব স্পষ্টতঃ পরিলক্ষিত হয়। বিভিন্ন মনীষিগণ কর্তৃক ভাষ্যার্থ ব্যাখ্যাত হওয়ায় শঙ্করপ্রণীত গীতা-ভাষ্যের চমৎকারিতা ও উপাদেয়তা নিঃসন্দিগ্ধভাবে প্রমাণিত হইয়া থাকে।

আচার্য শঙ্করের অভিপ্রায় হইল, 'গীতার সিদ্ধান্ত এই যে, পরমার্থজ্ঞানেই মুক্তিলাভ হয়, জ্ঞান ও কর্মের সমুচ্চয়ের ফলে নহে।ব্রহ্মাত্মৈক্যদর্শনরূপ জ্ঞান দ্বারা অজ্ঞান বিনাশপূর্বক নৈষ্কর্ম্যসিদ্ধি, ব্রাহ্মীস্থিতি বা ব্রহ্মনির্বাণলাভই গীতার উপদেশ। অজ্ঞানই দ্বৈতভাব-উৎপাদক। এই দ্বৈতভাব হইতেই সকল কর্ম হয়। দ্বৈতভাব-নাশান্তে নিষ্ক্রিয় আত্মায় প্রতিষ্ঠিত হইলেই সর্বকর্মসন্ন্যাস হয়। নিষ্কাম কর্মের দ্বারা চিত্ত শুদ্ধ হইলে মেঘমুক্ত সূর্যের ন্যায় আত্মজ্ঞান প্রকাশিত হয়। আত্মজ্ঞানলাভ হইলে নৈষ্কর্ম্যসিদ্ধি অর্থাৎ কর্মত্যাগ হয়। ইহার প্রমাণ স্বরূপে গীতার কোন কোন বাক্যও প্রদত্ত হইয়াছে, যথা জ্ঞানাগ্নিঃ সৰ্ব্বকৰ্ম্মাণি ভস্মসাৎ কুরুতেজ্ঞানরূপ অগ্নিতে সকল কর্ম ভস্ম হইয়া যায়।- (ভগবদ্গীতা-৪। ৩৭), সৰ্ব্বকৰ্ম্মাখিলং পার্থ জ্ঞানে পরিসমাপ্যতে” — জ্ঞানেতেই সর্বকর্মের পরিসমাপ্তি হয়।- (ভগবদ্গীতা-৪। ৩৩)


অতএব ভগবান্ শঙ্করাচার্য্য প্রণীত গীতার ভাষ্য থাকিতে গীতার অন্য ব্যাখ্যা অনাবশ্যক। তাই আমি অপ্রতিদ্বন্দী শাঙ্করভাষ্য অবলম্বনেই এই গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ ও টীকা লিখিয়াছি। ভূলত্রুটিতে ক্ষমাপ্রার্থী।

                                                                                               -শ্রীশুভ চৌধুরী


No comments:

আচার্য শ্রীহর্ষ ও খণ্ডনখণ্ডখাদ্যম্

  খৃষ্টীয় দশম ও একাদশ শতকে অদ্বৈতবেদান্তের ক্ষেত্র অনুর্বর হলেও অপরাপর দর্শনের ক্ষেত্র যে বিবিধ চিন্তা - শস্যসম্ভারে সমৃদ্ধ ...